যশোরে মাদক ব্যবসায়ীদের পক্ষ নেওয়ার কারণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা এসকে সুজনকে অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয়রা। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাতে শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডে এ ঘটনাটি ঘটে। তবে এসকে সুজন এক ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছেন, তেমন কিছু না হলেও ঘটনাটি রং চং মাখিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের জীবন, অন্তর, বিজয়সহ আরও কয়েকজন এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা করছে। এতে এলাকার যুব সমাজ নষ্ট হচ্ছে। ফলে সচেতন এলাকাবাসী মাদক ব্যবসায় বন্ধে সোচ্চার হন। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে তারা এলাকা গণ্যমান্য মানুষ মাদক বিরোধী কর্মকান্ডে চালিয়ে যাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে রাত ৮টার দিকে একাধিক মোটরসাইকেল করে ঘোপ সেন্ট্রাল রোডে আসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতা এসকে সুজনসহ চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা। স্থানীয়রা আরও জানান, তারা মাদক ব্যবসায়ীদের পক্ষে কথা বলায় উপস্থিত জনগণ তাদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। বিক্ষুব্ধরা এসকে সুজনকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এসময় কেউ কেউ তাকে মারধরও করেন। ওই সময় সেন্ট্রাল রোড দিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে ফিরছিলেন বিএনপির খুলনা বিভাগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। হট্টগোল দেখে গাড়ি থেকে নেমে সুজনকে উদ্ধার করে পরিস্থিতি ঠান্ডা করেন। স্থানীয় বাসিন্দা খলিল রহমান জানান, ঘোপ সেন্ট্রাল রোডে এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের পক্ষে নেওয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা এস কে সুজনসহ তার সঙ্গীদের ঘেরাও করে রাখে বিক্ষুব্ধ জনতা৷ একপর্যায়ে তাকে গণধোলাই দেয়া হয়। সাধারণ মানুষ এস কে সুজনের কঠিন চাই। এর আগে সুজনের নেতৃত্বে ৯ টি মোটরসাইকেল করে কয়েকজন যুবক সেন্ট্রাল রোডে গিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে। এদিকে, এসকে সুজন বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকালে নিজের ফেসবুকে এক পোস্ট আপলোড করে দাবি করেছেন, ২২ এপ্রিল রাত ৮ টায় দড়াটানার একজন চায়ের দোকানের কর্মচারীকে আহত অবস্থায় দেখে জানতে পারি ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের কিছু ছোট ছেলেরা দোকানে এসে তাকে মেরেছে। পরে আমি ওই এলাকার ভাই ব্রাদার নিয়ে বিষয়টি সিনিয়রদের জানানোর জন্য ঘোপ রাজু চাচার মোড়ে যায়। তখন স্থানীয়রারঘোপের সার্বিক পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য এবং এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছিলেন। এসময় মুরুব্বিগণদের সাথে কিছু সময় আমাদের কথোপকথন হয়। এরমধ্যে এলাকার কিছু উত্তেজিত ছেলেরা বাজে ব্যবহার করতে থাকে। তবে কোন মারামারির পরিস্থিতি সেখানে হয়নি। এর মাঝে ঘটনাস্থল দিয়ে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ভাই গাড়ি করে যাচ্ছিলেন। তিনি নিজে গাড়ি থেকে নেমে, সম্পূর্ণ বিষয়টা শুনে এবং বুঝতে পেরে, আমাদের সবাইকে বলেন যে বিষয়টা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। সবাইকে একত্রে চলার পরামর্শ দিলে ঘটনাস্থল থেকে আমরা চলে আসি। পরে ঘটনার রং-চং মাখিয়ে গণধোলাই বলে প্রচার করা হচ্ছে৷ যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন জানান, ঘোপ সেন্ট্রাল রোডে উত্তেজনার খবর শুনে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিলো। তবে পুলিশ সেখানে যাওয়ার আগেই ঘটনা মিমাংসা হয়ে যায়। পরে পুলিশের টিম ফিরে আসে৷ এমআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর