সারা দেশে চলছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। প্রশ্নফাঁস এড়াতে কোচিং বন্ধের সরকারি নির্দেশনা বহাল রয়েছে। চলতি মাসের ৮ এপ্রিল ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক স্বক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় ৷ এতে বলা হয়, প্রতিটি পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগের দিন থেকে পরীক্ষার দিন পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত, ঠাকুরগাঁও জেলার সকল পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশের কোচিং সেন্টার; কম্পিউটার ও ফটোকপি মেশিনের দোকানসমূহ বন্ধ রাখতে হবে।অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ৷ প্রশাসনের এমন নির্দেশনা ব্যত্তয় দেখা গিয়েছে শহরের ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে। সোমবার ( ২১ এপ্রিল ) বেলা ১ টা বেজে ৫ মিনিট। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা চলমান। এমন সময়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আনাগোনা ছিল চোখে পড়ার মতো। একে একে দল বেঁধে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। সকলে বিদ্যালয়ে প্রাইভেট ও এক্সট্রা ক্লাসের জন্য এসেছেন৷ এসব ক্লাসে প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বাইরের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও কোচিং করছেন৷ বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে কোচিং করছেন তারা। স্যারদের কথা মত ১ টার দিকে বিদ্যালয়ে এসেছে তারা৷ প্রতিদিনই বিদ্যালয়ে প্রাইভেট ও এক্সট্রা ক্লাসের জন্য আসেন শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ম না মেনে কোচিং-এর বিষয়ে অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক পরিদর্শন করেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহীন আকতার৷ তিনি বলেন, কোচিং এর অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা এসেছি৷ বিদ্যালয়ে প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী আমরা দেখেছি। তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে তারা সকলে কোচিং করার জন্য এসেছেন। কেউ কেউ এক্সট্রা ক্লাসের কথা বলেছেন আবার কেউ প্রাইভেটের কথা বলেছেন৷ তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীর কাছে প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা নেওয়ারও অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আলাদা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এখানে এসে পড়েন। এসব বিষয় আমরা জেলা প্রশাসক মহোদয়কে জানাব। আশা করছি তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়,পরীক্ষার দিনগুলোতে তাদের নিয়মিত কোচিং করতে আসতে হয়। শিক্ষকরা ক্লাসে সেভাবে পড়া দেন। না আসলে নানা ধরনের অহেতুক মন্তব্য শোনতে হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা (ভারপ্রাপ্ত) ও কেন্দ্র সচিব শাহানুর কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন,এমন অভিযোগের সতত্যা পেলে শোকজ সহ আমরা প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব৷এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর