ছয় দফা দাবি পূরণে সুস্পষ্ট ঘোষণা না পাওয়ায়, আন্দোলনরত পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে, আজ শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বাদ জুমা দেশব্যাপী একযোগে কাফনের কাপড় মাথায় বেঁধে গণমিছিল করবেন তারা।‘কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ’ নামক একটি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে এই কর্মসূচির কথা জানানো হয়েছে। পোস্ট এবং ভিডিওতে উল্লেখ করা হয়, জুমার নামাজের পর সারাদেশের সকল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ‘৮৭ এর কাফন আন্দোলন’-এর মতো কাফনের কাপড় মাথায় বেঁধে গণমিছিল করবে।এর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল), শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রেহানা ইয়াছমিনের সঙ্গে এক দীর্ঘ বৈঠকে বসলেও আলোচনার ফলাফলে সন্তুষ্ট নন আন্দোলনকারীরা। তাই আন্দোলন আরও জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।আজ শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) জুমার নামাজের পর দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীরা ‘কাফনের কাপড় মাথায় বেঁধে’ বিক্ষোভ মিছিল করবে আন্দোলনকারীরা। এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় একযোগে দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে মশাল মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একজন প্রতিনিধি মাসফিক ইসলাম জানান, অতিরিক্ত সচিবের সঙ্গে তিন ঘণ্টার আলোচনায় শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের কোনো সুস্পষ্ট লিখিত প্রমাণ দেখাতে পারেনি মন্ত্রণালয়। বলা হয়েছে, নিয়োগবিধি সংশোধনসহ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, কিন্তু তা নিশ্চিত করার মতো কোনো কাগজপত্র দেখানো হয়নি।তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট ফলাফল চাই। প্রতিশ্রুতির নামে আশ্বাস দিয়ে আমাদের আন্দোলন থামানো যাবে না। যাদের সঙ্গে আলোচনা হওয়া দরকার, তারা কেউই উপস্থিত ছিলেন না। ফলে আলোচনায় আমরা সন্তুষ্ট নই।আন্দোলনকারীদের দাবি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দুপুরে শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব খ ম কবিরুল ইসলাম বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। ফলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করতে হয় অতিরিক্ত সচিবকে। শিক্ষার্থীদের মতে, এটি ছিল একটি “নাটকীয় ও অপ্রস্তুত বৈঠক।কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি রমজান আলী বলেন, আমরা নাটকীয় বৈঠক প্রত্যাখ্যান করেছি। কুমিল্লা বিভাগীয় পলিটেকনিকগুলোতে আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার মশাল মিছিল করেছি। এখন আরও কঠোর কর্মসূচি আসছে।এর আগে বুধবার সারা দেশে সড়ক, মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে আন্দোলন করেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। এর ফলে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ যানজট ও জনদুর্ভোগ তৈরি হয়। এরপর বৃহস্পতিবার রেল অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হলেও, বৈঠকের আশ্বাসে তা সাময়িক স্থগিত করা হয়।আন্দোলনকারীরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, দাবিগুলোর বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে। এবি
Source: সময়ের কন্ঠস্বর