ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠানে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল লতিফের উপস্থিতি নিয়ে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনাকে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব এবং পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতার চরম লঙ্ঘন হিসেবে দেখছেন অনেকে।অনুষ্ঠানে শেকৃবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ বেলাল হোসেন এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল বাসারও উপস্থিত ছিলেন।বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, সরকারি কর্মকর্তা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ। শেকৃবি উপাচার্যের এই অনুষ্ঠানে যোগদানকে নিয়মবহির্ভূত ও পেশাদারিত্ববিরোধী বলে মনে করছেন অনেকে।শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সমাজের একাংশ এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, উপাচার্যের এমন আচরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন ও নিরপেক্ষতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান হিসেবে তার নিরপেক্ষতা বজায় রাখা উচিত ছিল। একজন উপাচার্য যদি রাজনৈতিক প্রোগ্রামে অংশ নেন, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্ব কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এই ঘটনা নিয়ে তীব্র সমালোচনা চলছে। নেটিজেনরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদে বসে এমন আচরণ শুধু ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের ব্যর্থতা নয়, এটি পুরো শিক্ষাব্যবস্থার জন্য একটি কালো দাগ।এ বিষয়ে শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল লতিফ বলেছেন, এটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারীদের একটি প্রোগ্রাম ছিল, যেখানে বন্ধুদের মধ্যে ইফতার বিতরণ করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, “তারা আমাকে ডেকেছিল, তাই আমি গিয়েছি। এটা বিএনপির কোনো প্রোগ্রাম ছিল না। তারা বিএনপিও করে না।”তবে, অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ব্যানারে ইফতার বিতরণ করা হয়েছে। এর আগে, ছাত্রদলের ব্যানারে কয়েকজন শিক্ষককে মানববন্ধন করতে দেখা গেলে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর