সংযুক্ত আরব আমিরাতে আটকে পড়া আফগানদের সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প। তিনি এমন এক সময় এ ঘোষণা দিয়েছেন, যখন নিজ দেশেই অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোরতা আরোপ করেছেন। জানুয়ারিতে ক্ষমতাগ্রহণের পর অভিবাসীদের পুনর্বাসন সুবিধা বাতিল করেছেন। এছাড়া এপ্রিলে হাজার হাজার আফগান নাগরিকদের দেয়া অস্থায়ীভাবে বহিষ্কার সুরক্ষা বাতিল করেছেন। খবর রয়টার্স রোববার (২০ জুলাই) ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, আমি তাদের রক্ষা করার চেষ্টা করব এবং সেটা এখন থেকেই। সঙ্গে তিনি একটি সংবাদের লিংকও শেয়ার করেছেন। ট্রাম্প ‘জাস্ট দ্য নিউজ’ (Just the News) নামের একটি সংবাদ ওয়েবসাইটের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের কর্মকর্তারা কিছু আফগান শরণার্থীকে তালেবানের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে রয়টার্স এই প্রতিবেদনের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র সংযুক্ত আরব আমিরাত ২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর হাজার হাজার আফগান নাগরিককে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে সম্মত দিয়েছিল। ওই সময়ে কাবুল থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সময় সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রায় ২ লাখ আফগান নাগরিককে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় দেন। এছাড়া আরব আমিরাতে আটকে পড়া আফগানিস্তানের নাগরিকদের মধ্যে ১ হাজার জনকে ২০২২ সালে কানাডায় আশ্রয় দেয়ার জন্য অনুরোধ জানায় যুক্তরাষ্ট্র। এতে সম্মতি জানায় অটোয়া। তবে আরব আমিরাতে ঠিক কত জন আফগান নাগরিক আশ্রয় নিয়েছে তা জানা যায়নি। গত সপ্তাহে জাতিসংঘ জানিয়েছে, কিছু দেশ আফগান শরণার্থীদের তাদের দেশে জোর করে পাঠিয়ে দিয়েছেন। ইরান এবং পাকিস্তান থেকে প্রায় ২০ লাখ আফগান নাগরিককে তাদের দেশে পাঠানো হয়েছে। শরণার্থী নীতিতে কড়াকড়ি আরোপের অংশ হিসেবে জার্মানি শুক্রবার ৮১ জন আফগান পুরুষকে আফগানিস্তানে ফেরত পাঠিয়েছে। এছাড়া ইউরোপের আরও কিছু দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভেতরে আশ্রয় নীতিমালা আরও কঠোর করার পক্ষে চাপ দিচ্ছে।এবি
Source: সময়ের কন্ঠস্বর