ভাই-বোন হলো একই গাছের বর্ণিল ফল ও ফুলের মতো। সম্পর্কে তারা সবচেয়ে নিকটবর্তী এবং হৃদ্যতায় সবচেয়ে এগিয়ে। শৈশবের জীবনটুকু ভাই-বোনের সঙ্গেই কাটে। ঘর-বাড়ি থকে বিদ্যালয়, খেলার মাঠ, পড়ার টেবিল ও খাবারের দস্তরখান সব কিছুতেই তারা আমাদের সঙ্গী। কখনো তারা আমাদের খেলার সাথী, আবার কখনো পার্টনার ইন ক্রাইম, বিপদে সুপারম্যানের মতো তো কখনো আবার সুপরামর্শদাতার ভূমিকা পালন করে আমাদেরকে জীবনে চলার পথে এগিয়ে যেতে সহযোগিতা করে। আবার কখনো মায়ের কাছে বকুনি খাওয়ানোর জন্য ভাই অথবা বোনের কোন জুড়ি নেই। আমাদের ভাইবোনরা আমাদের পরিবার এবং তারা আমাদের জীবনের একটি বিশাল অংশ। আর তাই প্রতি বছর ১০ এপ্রিল বিশ্বজুড়ে ভাইবোনদের বন্ধন আরও মজবুত করতে উদযাপিত হয় জাতীয় ভাইবোন দিবস। এই দিনটির লক্ষ্য হল ভাই ও বোনের মধ্যে অবর্ণনীয় সংযোগ এবং ভালবাসাকে সম্মান করা, এটি সারা বিশ্বের পরিবারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত করে তোলে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই দিনটিকে কেন্দ্র করে সাধারণ ছুটি পালন করা হয়। তাই সেই দেশে এই দিনটি ‘ছুটির দিন’ নামেও পরিচিত। তবে ইউরোপে ৩১ মে ভাই ও বোন দিবস হিসাবে স্বীকৃত। ১৯৯৮ সাল থেকে, ৪৯টি অঙ্গরাজ্যের গভর্নররা তাদের রাজ্যে ভাইবোন দিবসকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা জারি করেছে। ভাইবোনরা প্রকৃত অর্থে আমাদের সবচেয়ে বড় প্রেরণাদাতা এবং প্রতিযোগী হতে উৎসাহিত করে। ভাইবোনরা হল আমাদের প্রথম সেরা বন্ধু, আত্মবিশ্বাসী এবং জীবনের নানান দুষ্টুমির অংশীদার। তারা ছোটবেলা থেকেই আমাদের দেখেছে, আমাদেরকে ভাইবোনদের চেয়ে ভালো কেউ বোঝে না। এই দিবসটি আনন্দ উদযাপন করার, চ্যালেঞ্জগুলি নেভিগেট করার এবং ভাইবোনদের ভাগ করে নেওয়া অটুট বন্ধনকে লালন করার সময়। সুতরাং, আসুন এই দিনটিকে খোলা হৃদয়ে আলিঙ্গন করি এবং এটিকে আমাদের ভাই ও বোনদের জন্য একটি স্মরণীয় করে তুলি। এবি
Source: সময়ের কন্ঠস্বর