বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে কোচিং স্টাফের ভূমিকা ঘিরে। বিশেষ করে সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এবং প্রধান কোচ ফিল সিমন্সের অধীনে দলের খেলার মান নিয়ে বিসিবির ভেতরে শুরু হয়েছে বিশ্লেষণ।সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে চারজন ওপেনার নিয়ে দল সাজিয়েছিল টিম ম্যানেজম্যান্ট। এতে বোর্ড কর্তাদের মাঝে বিস্ময় তৈরি হয়েছে। একাদশ নির্বাচন ও ক্রিকেটারদের রোল ঠিক করে দেওয়ায় সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের ভূমিকা বেশি থাকে বলে গুঞ্জন আছে।বোর্ডের একজন পরিচালক জানিয়েছেন, দলের একাদশ গঠনে সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের প্রভাব রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি কিছু খেলোয়াড়ের কাছ থেকে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগও পেয়েছেন তারা। তবে এসব অভিযোগ এখনও প্রমাণিত নয়। ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফের সঙ্গে কথা বলেও অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম এই অভিযোগগুলো অস্বীকার করে বলেন, ‘দল পরিচালনায় প্রধান কোচই মূল সিদ্ধান্ত নেন। কোচিং স্টাফরা তাকে সহযোগিতা করেন মাত্র। একাদশ নির্ধারণে কোচ ও অধিনায়কের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।’প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুও জানিয়েছেন, কোচিং স্টাফের কেউ জাতীয় দলে পছন্দের খেলোয়াড় নেওয়ার মতো ক্ষমতা রাখেন না। নির্বাচক প্যানেলও স্বাধীনভাবে কাজ করে থাকে।এদিকে টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রে জানা গেছে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চার ওপেনার নিয়ে একাদশে নামার সিদ্ধান্তে সালাউদ্দিনের ভূমিকা ছিল না। বরং সিরিজের শুরুতে খেলোয়াড়দের সম্পর্কে ভালো ধারণা না থাকায় প্রধান কোচ কিছু বিষয়ে সালাউদ্দিনের ওপর নির্ভর করতেন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই নির্ভরতা কমে এসেছে।চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে নিক পোথাস যে রোল পালন করতেন সালাউদ্দিনের এখন সেই রোল। কোচের নির্দেশনা নিয়ে কে কখন ব্যাট করবে, বল করবে, সেগুলো দেখেন। বিদেশে দলের সঙ্গে থাকার ফলে আমি দেখেছি- কাজের ক্ষেত্রে কোচ সালাউদ্দিনের ওপর নির্ভর করলেও একাদশ নির্বাচনে ভূমিকা নেই। বরং সিমন্স সব কোচের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেন। একাদশ নির্বাচন প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়েই হয়।তবে সহকারী কোচ সালাউদ্দিনের প্রভাব থাকলে তার বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ কেন? এই প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে বোর্ডের ভেতরে! ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের মতে, জাতীয় দলের কোচিং স্টাফে সম্ভাব্য পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হলে সালাউদ্দিনের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে উঠতে পারে।আরডি
Source: সময়ের কন্ঠস্বর