চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ তৈলারদ্বীপ গ্রামের প্রধান সংযোগ সড়ক- কাজী আব্দুল করিম মুন্সির সড়ক, দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে অবহেলিত। প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ কাঁচা মাটির এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করেন তিন হাজারেরও বেশি স্থানীয় বাসিন্দা।বর্ষা মৌসুম এলেই সড়কটি কাদা-পানিতে ঢেকে যায়। তখন হাঁটা তো দূরের কথা, প্রয়োজনীয় যানবাহনও চলতে পারে না। স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের কাদা মাড়িয়ে স্কুলে যেতে হয়, আর রোগী পরিবহনের সময় মাঝপথেই আটকে যায় সিএনজি বা রিকশা। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েন অসুস্থ, বয়স্ক ও নারী যাত্রীরা।স্থানীয় বাসিন্দা মো. মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ‘এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন গ্রামের শত শত মানুষ জরুরি প্রয়োজনে যাতায়াত করে। কিন্তু বর্ষার সময় কাদার কারণে চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। শিশু ও বৃদ্ধদের চলা তো প্রায় অসম্ভব। বারবার বললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি।’স্থানীয় আরেক বাসিন্দা আবু বক্কর বলেন, ‘চারিদিকে কত উন্নয়ন হচ্ছে, কিন্তু এ সড়কের কোনো উন্নয়ন হচ্ছে না। আমরা এ সড়কটি পুনঃনির্মাণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নাছির উদ্দিন বলেন, ‘সড়কটি মূলত বেরিবাঁধ সড়ক। এটির প্রথমাংশে ও শেষাংশের কাজ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। মাঝখানের কিছু অংশ কাঁচা অবস্থায় রয়েছে। এই সড়কের মাঝখানের অংশের বিষয়ে গত এক মাস আগে ইউএনও মহোদয়ের কাছে আবেদন করেছি।’আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার জানান, ‘আনোয়ারা উপজেলায় এমন অনেক সড়ক রয়েছে। যে পরিমাণ বরাদ্দ পাওয়া যায়, তা দিয়ে একসাথে সব সড়কের কাজ করা সম্ভব নয়। তবে আমরা প্রাপ্ত বরাদ্দ অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি।’ দ্রুত সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এলাকাবাসীর দাবি, দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের অবসান ঘটিয়ে দ্রুত সড়কটি সংস্কার করে তাদের যাতায়াতের স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করা হোক।এসকে/এইচএ
Source: সময়ের কন্ঠস্বর