ছোট্ট একটি নদী আছে আমার ছোট্ট গাঁয়ে এই নদীতে যাওয়া আসা খেয়া ঘাটের নায়ে। এই নদীটির আড়িয়াল খার শাখা নদী, গৌরনদী নদীনামে পরিচিত। যা বরিশাল জেলা শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার উত্তর পূর্ব কোণে। গৌরনদী উপজেলার শরিকল ইউনিয়নের হোসনাবাদ লঞ্চঘাট এলাকায় নদীর এপার পারের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে খেয়া। এই খেয়ার উপর ভরসা করে বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার সাহেবেরচর, নাজিরপুরসহ গৌরনদী উপজেলার প্রায় প্রতিদিন ১ হাজার মানুষ যাতায়াত করে। দুই উপজেলার মানুষ এক সময় ২ টাকা খেয়া ভাড়া দিয়ে পারাপার হতো। পরবর্তীতে এখন ৫ টাকা। আর সেই ৫ টাকার খেয়া ভাড়া এখন একবার নদীর এপার হলেই গুনতে জন প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা।বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার শরিকল ইউনিয়নের সোসনাবাদ খেয়াঘাটে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। ফলে প্রতিদিনের চলাচলে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। জানা গেছে, নির্ধারিত ভাড়া ৫ টাকা হলেও বর্তমানে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে। যাত্রীদের অভিযোগ, ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করা হলেও প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই।স্থানীয় বাসিন্দা হালিম সিকদার জানান, আগে ভাড়া ছিল ২ টাকা, পরে ৫ টাকা করা হয়। এখন হঠাৎ করে ১০ থেকে ১৫ টাকা আদায় করা হচ্ছে। কোনো ঘোষণাও নেই। আমরা গরিব মানুষ, প্রতিদিন যাতায়াত করি, এই বাড়তি টাকা কেমন করে দেব?অন্য আরেক বাসিন্দা মো. বশির মুন্সী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই জুলুমের শেষ কোথায়? খেয়াঘাট পরিচালনার দায়িত্বে যারা আছে, তারা কি কিছুই দেখছে না? আমরা চাই আবার আগের ৫ টাকার ভাড়াই বহাল থাকুক।এ বিষয়ে খেয়াঘাট ইজারাদার, মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ফরিদ খান বলেন, আগে খেয়াঘাটের ইজারা ১০ হাজার টাকায় পাওয়া যেত, এখন সেটা বেড়ে ২৫ লাখ হয়েছে। ৫ টাকা ভাড়ায় খরচ উঠানো সম্ভব না, তাই আমাদের ১০-১৫ টাকা নিতে হচ্ছে।” বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, খেয়া ভাড়া নির্ধারণে স্থানীয় প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ জরুরি। না হলে এই অবস্থার উন্নতি হবে না, বরং সাধারণ যাত্রীরা আরও বিপাকে পড়বে।এলাকাবাসীল দাদী প্রশাসনের কার্যকর নজরদারি না থাকলে, সোসনাবাদ খেয়াঘাট রীতিমতো চাঁদাবাজির আখড়ায় পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর