জন্মের পর ৫ বছর পর্যন্ত স্বাভাবিক চলাফেরা করলেও হঠাৎ একদিন মাটিতে পড়ে যায় ৮ বছরের শিশু লোভা। কোমড়ে প্রচণ্ড ব্যথা পায় লোভা। এরপর থেকেই আর উঠে দাঁড়াতে পারে না সে। গাইবান্ধা, রংপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করিয়েও তেমন ফলাফল পাননি লোভা।গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের গাড়ানাটা গ্রামের রতন ও বিলকিস দম্পতির মেয়ে লোভা। গাড়ানাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করলেও অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মতো স্বাভাবিকভাবে স্কুলে যাওয়া, খেলাধুলা করা ও স্বাভাবিক চলাফেরা করার মতো শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন লোভা।স্কুলের শিক্ষকরা বলেন, ‘লোভা অত্যন্ত মেধাবী ও পড়ালেখায় ভালো।’ সমাজ ও দেশের বিত্তশালীদের প্রতি আমার অনুরোধ, আপনাদের সহযোগিতায় লোভা ফিরে পেতে পারে স্বাভাবিক জীবন। ফুটবে মুখে হাসি।লোভার অসহায় অটো চালক বাবার নেই নিজের বসতভিটা, ভাড়া থাকেন অন্যের বাড়িতে। কোনমতে সংসারের হাল ধরে থাকলেও লোভার চিকিৎসা করার মতো অর্থকড়ি তার হাতে নেই। এর মধ্যে ধার দেনা করে গাইবান্ধা, রংপুরে চিকিৎসা করাতে বেশ অর্থ খরচ হয়েছে তার বাবার।চিকিৎসকরা বলেছেন, লোভাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিতে হবে, তাহলেই হয়তোবা আবারও উঠে দাঁড়াতে পারবে লোভা। ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করার মতো টাকা নেই লোভার অসহায় বাবা রতনের।রতন ও বিলকিস দম্পতি বলেন, ‘ডাক্তার বলেছে, ঢাকায় চিকিৎসা করাতে পারলে ভালো হবে।’ এর জন্য ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার প্রয়োজন, এত টাকা লোভার পরিবারের পক্ষ থেকে খরচ করার মতো সামর্থ্য নেই। তাই লোভা’র চিকিৎসার জন্য সমাজের ও দেশের বিত্তবান মানুষদের প্রতি আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন লোভার বাবা-মা।আপনাদের একটু সহযোগিতাই হয়তো সুস্থ হয়ে উঠতে পারে লোভা। ফিরতে পারবে স্বাভাবিক জীবনে। উঠতে দাঁড়াতে পারে আর ১০টা স্বাভাবিক শিশুর মতো।যোগাযোগ করতে পারেন- লোভার বাবা মো. রতন মিয়া, গাড়ানাটা, পলাশবাড়ী, গাইবান্ধা। মোবাইল নং- ০১৩৪১-৫১৭৬৬৩ (বিকাশ/নগদ)এসকে/এইচএ
Source: সময়ের কন্ঠস্বর