নেপালের নাগারকোটে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক জলবায়ু ক্যাম্প ২০২৫, যেখানে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহা. আশাবুল হক অংশ নিচ্ছেন। গত ৪ জুলাই থেকে শুরু হওয়া পাঁচ দিনব্যাপী এই ক্যাম্পে দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১২০ জনেরও বেশি তরুণ জলবায়ু কর্মী, গবেষক, শিক্ষক ও পেশাজীবী যোগ দিয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে ৮০ জনের বেশি প্রতিনিধি এই গুরুত্বপূর্ণ আয়োজনে অংশগ্রহণ করছেন।নেপালের পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন ‘ল্যান্ড ফর ফিউচার–নেপাল’ এবং বাংলাদেশের সেন্টার ফর অ্যাটমোসফেরিক পলিউশন স্টাডিজ (CAPS) ও মিশন গ্রিন বাংলাদেশ যৌথভাবে এই ক্যাম্পের আয়োজন করেছে। এছাড়াও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের C3ER, ICIMOD, অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ, JetNet-BD, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়সহ একাধিক স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান এই আয়োজনে সহযোগী হিসেবে কাজ করছে।এই আন্তর্জাতিক জলবায়ু ক্যাম্পে জলবায়ু শিক্ষা, নবায়নযোগ্য শক্তি, অভিযোজন কৌশল, তরুণ নেতৃত্ব, পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি, ইকো-উদ্যোক্তা এবং প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান নিয়ে বিভিন্ন সেশন, প্যানেল আলোচনা, কর্মশালা ও কমিউনিটি কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে পারছেন।অধ্যাপক ড. মোহা. আশাবুল হক তাঁর বক্তব্যে জলবায়ু পরিবর্তনকে ‘বর্তমান বাস্তবতা’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘এর প্রভাব আমরা কৃষি, পরিবেশ ও মানুষের জীবনে প্রতিনিয়ত দেখছি। এ ধরনের আয়োজন ভবিষ্যতের জন্য একটি টেকসই ও সমন্বিত অভিযোজন কৌশল গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।’ তিনি বাংলাদেশের কৃষি শিক্ষার্থীদের জলবায়ু অভিযোজন এবং টেকসই কৃষি পদ্ধতি নিয়ে আরও বেশি গবেষণা ও কার্যক্রমে যুক্ত হওয়ার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।আয়োজকরা জানিয়েছেন, এই ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ২১ জন পূর্ণ স্কলারশিপে এবং ১৫ জন আংশিক অর্থায়নে সুযোগ পেয়েছেন। এই উদ্যোগ তরুণদের জলবায়ু বিষয়ক উদ্যোগে দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সহযোগিতার এক দারুণ সুযোগ তৈরি করবে, যা ভবিষ্যতের জলবায়ু নেতৃত্ব গঠনে সহায়ক হবে।এসকে/এইচএ
Source: সময়ের কন্ঠস্বর