যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সদস্যদের নিয়ে জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।আল জাজিরা জানিয়েছে, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে একটি সম্ভাব্য আলোচনার পথ তৈরিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন ট্রাম্প। এ লক্ষ্যে তিনি বিশ্বের অন্যান্য নেতাদের আলোচনায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।অন্যদিকে, মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল ফক্স নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প তার নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের হোয়াইট হাউজের ‘সিচুয়েশন রুম’-এ জরুরি ভিত্তিতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সাধারণত শুধুমাত্র অতি গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্যই এ কক্ষ ব্যবহার করা হয়।এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘তেহরানের সব বাসিন্দার এখনই শহর ছেড়ে যাওয়া উচিত।’ তার এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, এটি নিছক সতর্কবার্তা নয় বরং ভিন্ন কোনো কৌশলের অংশ হতে পারে।বিশ্লেষকদের মতে, রাজনৈতিক বিভ্রান্তি তৈরি করাও ট্রাম্পের কৌশলের অংশ হতে পারে। বিশেষ করে এমন সময়, যখন তিনি আবারও রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন।আল জাজিরার সাংবাদিক পেটি কুলহেইনের মতে, যদি শুধুমাত্র কূটনৈতিক আলোচনার পথ উন্মুক্ত করাই উদ্দেশ্য হয়, তাহলে হোয়াইট হাউজে জরুরি বৈঠকের প্রয়োজন পড়ত না। সিচুয়েশন রুম সাধারণত ব্যবহার করা হয় গুরুতর নিরাপত্তা সংকট মোকাবেলায়।এদিকে, নিউইয়র্ক টাইমস-এর এক প্রতিবেদন বলছে, ইরানের একটি পরমাণু স্থাপনায় সম্ভাব্য হামলার পরিকল্পনায় যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বোমার প্রয়োজন হতে পারে, যা বহনে সক্ষম আমেরিকান বি-২ বোমারু বিমান।সংবাদমাধ্যমটির দুই সাংবাদিক ডেভিড ই সাঙ্গার ও জনাথন সোয়ানের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, যদি ট্রাম্প এমন সিদ্ধান্তে অগ্রসর হন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রকে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন একটি সামরিক উত্তেজনার মুখোমুখি হতে হতে পারে। অথচ পূর্ববর্তী নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প এমন সংঘাতে না জড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
Source: সময়ের কন্ঠস্বর