যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার রঘুনাথপুর গ্রাম থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য উদঘাটনে মাঠে নেমেছে পিবিআই যশোরসহ পুলিশের একাধিক ইউনিট। এটি পরিকল্পিত জোড়াহত্যাকাণ্ড? না কি মৃত্যুর অন্য কোনো কারণ, সে রহস্য নিয়ে এলাকায় নানা মুখী বক্তব্য প্রচার হচ্ছে।উদ্ধার হওয়া মরদেহ দুটি হচ্ছে রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মনিরুজ্জামান (৫২) ও তার স্ত্রী রেহেনা খাতুন (৪৫)। দ্রুত রহস্য উদঘাটনের জোর দাবি উঠেছে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়দের পক্ষ থেকে। গত ১৩ জুন রাতের যেকোনো সময়ে এ ঘটনা ঘটেছে এবং তদন্ত কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৪ জুন ভোর ৬ টার দিকে গ্রামের লোকজন মনিরুজ্জামানের মরদেহ বাড়ির উঠানের পাশে গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় এবং স্ত্রীর মরদেহ বাড়ির পাশের মাঠে পড়ে থাকতে দেখেন। মনিরুজ্জামানের পিঠে মাটির আবরণ লেপ্টেছিল। বাইরে কোথায় থেকে টেনে হেঁচড়ে আনা হয়েছে এমনটি ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া ঝুলন্ত মরদেহটি হাঁটু গেড়ে থাকা অবস্থায় ছিল। যা আত্মহত্যার কোনো সিমটমের মধ্যে পড়েনা বলেও মন্তব্য পুলিশসহ অনেকের। যে কারণে এটি পরিকল্পিত জোড়াহত্যাকাণ্ড, না কি অন্য কিছু তা নিয়ে এলাকায় ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।ভুক্তভোগী দম্পতির মেয়ে মিরা (৩০) ও ছেলে মাসুদ (১৮) দাবি করেছেন, তাদের বাবা-মা আত্মহত্যা করেননি। তাদেরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তারা দ্রুত হত্যার রহস্য উন্মোচন ও ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও আটক দাবি করেছেন। কঠোর শাস্তির আওতায় আনারও দাবি তাদের।ঘটনাস্থলে যাওয়া বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই রাশেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে পৌঁছামনিরুজ্জামানের ঝুলন্ত মরদেহ বাড়ির উঠান থেকে উদ্ধার করেন এবং তার স্ত্রী রেহেনার মরদেহ বাড়ির উত্তরপাশের একটি মাঠ থেকে উদ্ধার করেন। ঘটনার তদন্ত চলছে। এখনই সব পরিষ্কার করা যাচ্ছে না।বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল মিয়া জানিয়েছেন, সীমান্ত ঘেঁষার রঘুনাথপুর গ্রাম থেকে ওই মনিরুজ্জামান-রেহানা দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এটি হত্যাকাণ্ড না কি আত্মহত্যা এখনই তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে। থানার পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই যশোরসহ আরও কয়েকটি টিম কাজ করছে। দ্রুত সব কিছু জানা যাবে।স্থানীয়দের ভাষ্যমতেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহও ছিল। যা আত্মহত্যার পর্যায়ে পড়েনা। এলাকাবাসীর দাবি ময়নাতদন্তের পাশাপাশি পুলিশ এ ঘটনার কারণ ও রহস্য উদঘাটিত করুক দ্রুত।এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর