টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ভাগিনার স্ত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। সম্পর্কে মামা শ্বশুড় হলেম গর্ভবতী ঐ গৃহবধূর পরিবার ঘটনার পর থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। পুলিশ বলছে, এই ঘটনায় আইনী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।গত শুক্রবার (২ মে) উপজেলার কুঠিবয়ড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানায়, পাশের বাড়ির তোতা মোল্ল্যা সম্পর্কে আমার মামা শ্বশুড়। গত শুক্রবার বিকালে আমি রান্নার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এমন সময় তিনি আমার শ্বাশুড়ির খোজে আমাদের বাড়িতে আসে। তিনি বাড়িতে না থাকায় আমার সাথে কথা বলতে শুরু করে। এক পর্যায়ে তিনি আমাকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে। আমাকে শ্লীলতাহানি করে। তারপর আম্কে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। আমি তাকে বার বার অনুরোধ করার পরও তিনি নোংরা বাসনা পুরনের জন্য চেষ্টা করেন। তারপর তাকে বলেছি যে আমি অন্তসত্বা। তারপরও তিনি থামেনি। তারপর আমি চিৎকার করি। আশে পাশের মানুষের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় শনিবার অভিযুক্ত তোতা মোল্ল্যার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে গৃহবধূর বাবা।ভুক্তভোগীর অভিযোগ, থানায় অভিযোগ দায়ের পর থেকেই মেয়ের বাবা ও তার শশুরবাড়ির লোকজনকে হামলা এবং মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে যাচ্ছে তোতা ও তার লোকজন। ঘটনার বিষয়ে এখনও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ভুক্তভোগী পরিবার।এদিকে থানায় অভিযোগ করায় মেয়ের বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে বিএনপির ওই নেতা। ফলে গেল ৫ দিন ধরে তিনি নিরাপত্তাহীনতার কারণে বাড়িতেই থাকছেন। তবে প্রভাবশালীদের ভয়ে এই বিষয়ে স্থানীয়রাও কথা বলতে রাজি হয়নি।গৃহবধূর শাশুড়ি জানান, বাড়িতে পুরুষ মানুষ না থাকায় একা পেয়ে ছেলের বউয়ের সাথে খারাপ আচরণ করেছে আমার চাচাতো ভাই। ভাগিনার স্ত্রীর সাথে কিভাবে মামা এমন আচরণ করতে পারে। ঘটনার পরও বুধবার (৭ মে ) সকালে বাড়িতে হামলা করেছে তারা। প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ এগিয়ে আসতে সাহস পায় না। অপরাধীর কঠোর বিচার চাই।গৃহবধূর বাবা ও মা জানায়, আপোস না করায় কুঠিবয়ড়া বাজারের চা-স্টল বন্ধ করে দিয়েছে। বাইরে গেলেই মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। তারা বিএনপির বড় নেতা এলাকায় প্রভাব বেশি।ঘটনার দিন রাতেই ঢাকায় গিয়েছিলাম কারারক্ষি নিবে সেই মাঠে একজনের চাকরির জন্য। পরে শুনি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। তারপরও ঘটনাটি মিমাংসার জন্য বলা হলেও তারা বসেনি। তাই মিমাংসা না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বাবার চা-স্টল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।ভূঞাপুর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), একেএম রেজাউল করিম বলেন, ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তারা মিমাংসা করবে এমনটি বলা হয়েছিল। কিন্তু পরে আর মিমাংসা করতে পারেনি তাদের থানায় আসতে বলা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর