অসুস্থ পিতাকে জামালপুরের সরিষাবাড়ী রেলস্টেশনের প্লাটফর্মে ফেলে রেখে যান ছেলে। চিকিৎসা ও খাবারের অভাবে বৃদ্ধ হেলাল উদ্দিন (৭০) সেখানে মানবেতর দিন কাটাচ্ছিলেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নজরে আসে জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীমের।পরে তিনি সেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের পাঠিয়ে বৃদ্ধকে স্টেশন থেকে উদ্ধার করে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সকল চিকিৎসা ব্যয়ভারও নিজে বহনের ঘোষণা দেন তিনি। বুধবার (০৭ মে) দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে জানা যায়, গত ৪ দিন যাবত ঐ বৃদ্ধ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বৃদ্ধ হেলাল উদ্দিন উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের মেইয়া গ্রামের মৃত জব্বার আলীর ছেলে। স্থানীয়দের তথ্যমতে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতেন। শরীরে চর্মরোগ ও পচন ধরায় চলাফেরা অক্ষম হয়ে পড়েন। অর্থের অভাবে তার চিকিৎসা না করেই পরিবারের সদস্যরা গত এক সপ্তাহ আগে সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে ফেলে রেখে যান। অনাহারে ও চিকিৎসা অভাবে তার শরীর আস্তে আস্তে নিস্তেজ হতে থাকে। চিকিৎসার অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছে এমন একটি খবর বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি স্থানীয় এক নারী জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীমকে জানান। এরপর ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম তার দলীয় নেতাকর্মী পাঠিয়ে স্টেশন থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা শুরু করান। চিকিৎসা করাতে সকল ব্যয়ভার তিনি বহন করার আশ্বাস দিছেন বলে জানান নেতাকর্মীরা।এ বিষয়ে পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সোহেল রানা ও ছাত্রদল নেতা এবিএস সম্পদ জানান, ৬ মে এক নারী জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীমকে ফোনে বিষয়টি জানান। এরপর তার নির্দেশে নেতাকর্মীরা স্টেশন থেকে ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। তারা জানান, বৃদ্ধ হেলাল উদ্দিনের সকল চিকিৎসার ব্যয়ভার সভাপতি শামীম নিজে বহন করছেন।এ বিষয়ে ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম বলেন, চিকিৎসার অভাবে সরিষাবাড়ীতে কোন মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করবে সেটা কখনোই হতে পারেনা। আমি যতটা সম্ভব তার চিকিৎসার জন্য পাশে থাকবো।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী মেডিকেল অফিসার ডা. রনি সাহা জানান, বৃদ্ধের শরীরে একাধিক স্থানে পচন ধরেছে। এখন তাকে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন।এসকে/আরআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর