বাঁশখালীতে গভীর রাতে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যায় অভিযুক্ত স্বামী ফরিদুল আলমকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে ফরিদুলকে উপজেলার খানখানাবাদ ইউনিয়নের ডোংরা গ্রামের কালু ফকির বাড়ি থেকে তাকে হাতেনাতে আটক করে স্থানীয় জনতা। এসময় উত্তেজিত জনতা ব্যাপক মারধর করে। খবর পেয়ে বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মজনু মিয়ার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদুলকে হেফাজতে নেয়। উত্তেজিত জনতা পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নিতে বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও করে। পরে বাঁশখালী থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ফরিদুলকে কড়া নিরাপত্তায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মজনু মিয়া।এর আগে শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ভোরে শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন ফরিদুল আলম। ৪২ বছর বয়সী মিনু স্বামীর সঙ্গে কলহের কারণে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।জানা গেছে, খানখানাবাদ ইউনিয়নের ডোংরা কালু ফকিরবাড়ির মৃত দুদু মিয়ার ছেলে ফরিদুল আলম ওরফে নইমুদ্দিনের সঙ্গে বাহারছড়া ইউনিয়নের পশ্চিম ইলশার অজি আহমদের মেয়ে মিনু আক্তারের ১৫ বছর আগে বিয়ে হয়। তাঁদের দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। ফরিদুল আলম মোবাইল ব্যবসার সুবাদে প্রায় সময় চট্টগ্রাম শহরে থাকতেন। জাদু টোনা করার অভিযোগে ফরিদুল প্রায় সময় নানা অপবাদ দিয়ে স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করতো। বৃহস্পতিবার রাতে ফরিদুল আলম চট্টগ্রাম থেকে তার শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে ঘুমন্ত স্ত্রী মিনু আক্তারের বা চোখের পাশে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। পরে মিনুর চিৎকার শুনে স্বজনেরা এসে দ্রুত তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যান।বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুধাংশু শেখর হালদার বলেন, ফরিদুল এলাকায় আসার খবর পেয়ে জনগণ তাকে বাড়িতে গিয়ে আটক করে। পরে বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ি থেকে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে সিএনজিতে করে নিয়ে আসার সময় জনতা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। আমরা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসেছি।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর