প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়সমূহের স্বীকৃতি ও এমপিও ভূক্তির দাবিতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন। শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় জেলা সদরের পুরাতন বাস স্টান্ড এলাকায় অবস্থিত মানব কল্যান ট্রেনিং সেন্টারে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইলিয়াস রাজ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইলিয়াস রাজ বলেন, “প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়সমূহের স্বীকৃতি ও এমপিও ভুক্তির জন্য চার দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। উনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন এজন্য এপ্রিল মাস পর্যন্ত আন্দোলন শিথীল করা হয়েছে। “এসো জীবন গড়ি, ঠাকুরগাঁও” এর নির্বাহী পরিচালক নোবেল ইসলাম শাহ এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির মুখ্য সমন্বয়ক মো: গাউছুল আজম। তিনি বলেন, “প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকসমূহ বৈষম্যের শিকার হয়েছে। সবার সব দাবি মেনে নিলেও আমাদের দাবি মানতে সরকারের কার্পন্যতা কেন? সরকার চলতি মাসের মধ্যে আমাদের দাবি মেনে না নিলে পরবর্তীতে লাগাতার কর্মসুচী ঘোষণা করা হবে। বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রিমা খাতুন বলেন, প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়সমূহের শিক্ষকরা পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীর জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের ১০ শতাংশ জনগোষ্ঠী প্রতিবন্ধী। তাদের কি অপরাধ, তাদের সেবা করাটাই কি আমাদের অপরাধ? যদি অপরাধ না হয় তবে সরকার কেন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়সমূহের এমপিওভুক্তি করবে না। এছাড়াও সভায় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক আকুল শেখ, রংপুর বিভাগীয় সমন্বয় পরিষদের সভাপতি জাহানারা আক্তার এবং ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ।সভায় বক্তারা বিনা বেতনে বিদ্যালয় সমূহের পরিচালনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা ও ভোগান্তি সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং কর্তৃপক্ষের নিকট অনতিবিলম্বে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়সমূহের স্বীকৃতি ও এমপিও ভুক্তির দাবি উত্থাপন করেন। উল্লেখ্য, সারাদেশে ১৭৭২ টি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ে প্রায় ২ লক্ষ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু-কিশোর অধ্যয়নরত আছেন। এমআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর