লাখাইর হাওরে দুলছে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন। কৃষি ভান্ডার খ্যাত লাখাইর খাদ্য ঘাটতি পূরণে অন্যতম ফসল এই ইরি-বোরো। তীব্র গরম আর দীর্ঘ খরার পর অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টির পানিতে প্রাণ ফিরে এসেছে উপজেলার বিস্তীর্ণ হাওরের ইরি-বোরোর বৃষ্টি নির্ভর আবাদ কৃত জমির এলাকায়। এতে করে আরও প্রাণবন্ত ও চিটার হাত থেকে কিছুটা হলেও ধানের শীষ রক্ষা পাবে বলে আশাবাদী কৃষক। মাঠ থেকে ধান গোলায় তুলার পূর্ব পর্যন্ত অনুকূল আবহাওয়া থাকলে এবং বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন হবে বলে আশাবাদী কৃষক।সরেজমিনে দেখা যায়, অনাবৃষ্টি ও খরার কারণে বিস্তীর্ণ হাওড়ের বোরো ফসলি জমিতে দেখা দিয়েছে চরম পানি সংকট। অতিরিক্ত খড়ার কারনে কৃষক একদিকে সেচ দিচ্ছেন অন্যদিকে তা শুকিয়ে চৌচির হয়ে যাচ্চে, এ অবস্থায় নদী বা গভীর নলকূপের আওতাভুক্ত জমিগুলো অবস্থা সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও বৃষ্টি নির্ভর জমিগুলোর অবস্থা ছিল চরম পর্যয়ে। তবে গত রাতে হালকা বৃষ্টি স্বস্তি এনেছে চাষিদের মনে।এদিকে উপজেলার বুল্লা ও লাখাই ইউনিয়নের হাওড়ে ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে বৈশাখখ আসার আগে শুরু হয়েছে ধান কাট। হাওড়ে ব্রি ধান ৮৮ তে কেয়ার প্রতি সর্বোচ্চ ২৫ মণ পর্যন্ত পাওয়া গেছে।উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী লাখাই উপজেলায় এবছর বোরো আবাদ হয়েছে ১১২০৮ হে.। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৫০৪৩৬ মে.টন। তবে এবছর বৃষ্টি না হওয়ায় বৃষ্টি নির্ভর এলাকাগুলোতে ফলনে একটু প্রভাব পড়লেও যে সকল আবাদী এলাকা সেচের আওতায় আছে সেগুলোতে ফলন ভালো পাওয়া যাচ্ছে বলেরযানা গেছে।এব্যপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মাহমুদুল হাসান মিজানের সাথে আলাপ কালে জানান, যেহেতু এবছর বোরো মৌসুমে বৃষ্টি তেমন হয়নি, তাই এখন বৃষ্টি হলেই শিলা ও ঝড়ো বাতাসের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ধান ৮০% পাকলেই দ্রুত কেটে ফেলতে হবে। যে সকল জমি এখনো ফুল অবস্থায় আছে বিশেষ করে ননহাওড়ে সেকল জমিতে সম্ভব হলে ৪ ইঞ্চি পর্যন্ত পানি দিতে হবে। এতে করে ধানের চিটার পরিমাণ কমবে। তবে গত বছরের মত এবছরও আমাদের কৃষকের সঠিক সময়ে বোরো ফসল ঘরে তুলতে পারবে এবং আশানুরুপ ফলন হবে বলে মনে করেন তিনি।এআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর