টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়া সড়কের দেওপাড়া ইউনিয়নের খাকুরিয়ার ব্রিজের কাজ ১ বছরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ৪ বছরেও শেষ হয়নি। সাব ঠিকাদার ১৪/১৫ টি মামলা মাথায় নিয়ে পলাতক থাকায় ব্রিজের সম্পূর্ণ কাজ শেষ না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে প্রায় ৪১ গ্রামের মানুষ।জানাযায়, ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের খাকুয়িরার ব্রিজটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে একাংশ ভেঙে যায়। ব্রিজটি পূনঃনির্মানের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি দরপত্র আহবান করলে ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসই সাদিয়া অ্যান্ড সামিয়া জয়েন্টভেঞ্চার ২০২১ সালে ২১ সেপ্টেম্বর চার কোটি ২১ লাখ ১০ হাজার ৫৪৪ টাকা চুক্তিমুলে ২০২২ সালে ২০ মার্চ কাজ শেষ করার নিমিত্তে কার্যাদেশ পায়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি কাজ না করে স্থানীয় জনৈক সাইফুল ইসলামকে কাজটি করার জন্য সাব-ঠিকাদার নিয়োগ করে। সাব-ঠিকাদার বিকল্প সড়ক নির্মাণ না করেই মেয়াদোর্ত্তীণ ব্রিজটি ভাঙা শুরু করে। পরে স্থানীয়দের প্রতিবাদের মুখে কাদা মাটি দিয়ে পায়েহাটা রাস্তা তৈরি করে। এতে প্রতিদিন শ’ত শত’ভ্যান রিকশা ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, মিনিট্রাক, ট্রাক, প্রাইভেটকার চলাচল করতে পারছে না। ব্রিজের সম্পূর্ণ কাজ শেষ না করইে সাব-ঠিকাদার সাইফুল ইসলাম পলাতক রয়েছে। প্রায় ৪ বছর সময় ধরে ব্রিজ না থাকার কারণে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, ধলাপাড়া ইউনিয়নসহ দেওপাড়া ইউনিয়নের সরাশাক, কালিকাপুর, কোচপাড়া, পাঞ্জারচালা, শিবেরপাড়া, বাদেআমজানী, তালতলা, দেওপাড়া, কালিয়ান, গান্ধী, চাম্বুলতলা, রহমত খার বাইদ, রানাদহ, চৈতরবাইদ, মলাজানী, যুগিয়াটেংর, কুমাড়পাড়া, গানজানা, মাকড়াই, ভবানী, মালেঙ্গা, গন্ডঘোষ, চৌরাশা, কোচক্ষিরা, কাপাসিয়া, বারইপাড়া, ভোজদত্ত, হরিণাচালা, কান্দুলিয়াপাড়া, করিমেরপাড়া, কাকুয়িরা, কালুকাছরা, খামারকাছরা, দেলুটিয়া, ভাগলের পাড়া, ভাবনদত্ত, ঘোড়ামারা, বাণীবাসা গ্রামের মানুষ।স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছর ১/২ মাস কাজ করে উধাও হয়ে যায় সাব-ঠিকাদার সরকারি চাকরিজীবী ফার্মাসিষ্ট সাইফুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে রয়েছে ১৪-১৫টি চেক জালিয়াতি মামলা। ওইসব মামলায় বর্তমানে সাব-ঠিকাদার সাইফুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।সিএনজি চালক, জাহাঙ্গীর, আমিনুর, ভ্যানচালক তাওহিদ, রাজ্জাক, মিনি ট্রাক চালক আব্দুর রশিদ, অটোরিকশা চালক আসাদুল, সুজনসহ অনেকেই জানান, সাব ঠিকাদার বিকল্প সড়ক নির্মাণ না করে ব্রিজের কাজ শুরু করে স্থানীয়দের প্রতিবাদের মুখে কাদা মাটি দিয়ে কোন রকমে পায়েহাটা রাস্তা তৈরি করে। কয়েক দিন পর পরই মাঝ খানে ভেঙে যায়। পরে শ্রমিকরা বাশঁ কাঠ দিয়ে মিনি ব্রিজ তৈরি করে। প্রায় ৪ বছর আগে ব্রিজের কাজ ধরেছে এখন পর্যন্ত কাজ শেষ করতে পারে নাই। প্রতি বছরে ২-৩ মাস করে হঠাৎ উধাও হয়ে যায় সাব-ঠিকাদার সাইফুল। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত ব্রিজটিরকাজ শেষ করার দাবি জানান তারা। সাব-ঠিকাদার সাইফুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ব্যবহৃত ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, বিষয়টি খোজঁখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Source: সময়ের কন্ঠস্বর