পর্দা নেমেছে ৩২ দলের টুর্নামেন্ট ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের। যুক্তরাষ্ট্রে সফলভাবে অনুষ্ঠিত ২০২৫ সালের ঐতিহাসিক আসরের পর, এখন ফুটবল বিশ্বের নজর ২০২৯ সালের দিকে। ফিফা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা না করলেও ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৯ সালের জুন-জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত হবে এই টুর্নামেন্ট। মূলত ইউরোপের শীর্ষ লীগ ও মহাদেশীয় টুর্নামেন্টগুলো ঐ সময় শেষ হয়ে যায়। একারণেই এই সময়কে বেছে নিতে পারে ফিফা। সূত্রের বরাত দিয়ে স্প্যানিশ গণমাধ্যম মার্কা জানিয়েছে, ব্রাজিল ফিফার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২৯ সালের ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) এরই মধ্যে ফিফার সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা শুরু করেছে এবং রিও ডি জেনেইরো, সাও পাওলো ও বেলো হরিজোন্তে-সহ কয়েকটি শহরের নাম প্রস্তাব করেছে।এর আগে ২০১৪ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল ব্রাজিল। ফলে অভিজ্ঞতা, আধুনিক স্টেডিয়াম ও ফুটবল পাগল সমর্থকদের দেশ হিসেবে পরিচিত ব্রাজিল এ দৌঁড়ে এগিয়ে থাকবে। তাছাড়া, নতুন ফরম্যাটে দক্ষিণ আমেরিকায় এই প্রথমবারের মতো টুর্নামেন্ট হলে তা ফুটবলের ইতিহাসে নতুন মাত্রা যোগ করবে।আগামী ২০২৯ সালের আসর শুরু হতে এখনো চার বছর বাকি। তবে বিভিন্ন মহাদেশীয় টুর্নামেন্টের মাধ্যমে কয়েকটি দল এরই মধ্যে কোয়ালিফাই করে ফেলেছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী এখন পর্যন্ত যেসকল দল পরবর্তী ক্লাব বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করা দলগুলো হলো- ইউরোপ অঞ্চল: ইউরোপ অঞ্চল থেকে পরবর্তী ক্লাব বিশ্বকাপ নিশ্চিত করা দলগুলো হলে- ম্যানচেস্টার সিটি (২০২২-২৩ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী), রিয়াল মাদ্রিদ (২০২৩-২৪ চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী), চেলসি (২০২৫ ক্লাব বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন) দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল:ফ্লামেঙ্গো (২০২২ কোপা লিবার্তাদোরেস জয়ী), ফ্লুমিনেন্স (২০২৩ কোপা লিবার্তাদোরেস জয়ী) দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল থেকে ২০২৯ সালের ক্লাব বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে। এশিয়া (অঞ্চল):এশিয়া অঞ্চল থেকে এখন পর্যন্ত ২০২৯ সালের ক্লাব বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে জাপানী ক্লাব উরাওয়া রেড ডায়মন্ডস এবং আল আহলি।এছাড়া উত্তর আমেরিকা অঞ্চল থেকে ২০২৩ সালের কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন ক্লাব লিয়ন এবং ওশেনিয়া অঞ্চল থেকে টিকিট পেয়েছে অকল্যান্ড সিটি। ২০২৮ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য মহাদেশীয় প্রতিযোগিতাগুলোর মাধ্যমে আরও দল যোগ হবে। ফিফা চাইলে র্যাংকিং বা আমন্ত্রণের ভিত্তিতে অতিরিক্ত ক্লাবকেও অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে পারে।২০২৫ সালে ফিফা মোট ২ বিলিয়ন ডলার পুরস্কার বরাদ্দ করেছিল, যেখানে চ্যাম্পিয়ন পেয়েছে ৫০ মিলিয়ন ডলার। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৯ সালেও সেই আর্থিক প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে, এমনকি বাড়তেও পারে। ফলে টুর্নামেন্টটি বিশ্বের অন্যতম লাভজনক প্রতিযোগিতায় পরিণত হয়েছে।আরডি
Source: সময়ের কন্ঠস্বর