ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই) বলেছেন, মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। সরকার ও প্রশাসন ইচ্ছাকৃতভাবে প্রকৃত অপরাধীদের রক্ষা করতে চাইছে। চাঁদা না পেয়ে যুবদলের কর্মীরা মিটফোর্ড এলাকায় পাথর মেরে একজন ব্যবসায়ীকে হত্যা করেছে। এটা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের চেয়েও ভয়ংকর বর্বরতা।শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় বরিশাল নগরীর অশ্বিনী কুমার হলে ইসলামী যুব আন্দোলনের ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।ফয়জুল করীম বলেন, ‘দেশজুড়ে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট করে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে চায়—এটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়ের চরিত্র একই। তারা খুনি, ধর্ষক, টেন্ডারবাজ।’তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সচেতন হয়েছে, ওই চাঁদাবাজদের মানুষ আর ভোট দেবেনা। তারা দুর্নীতিতে বার বার চ্যাম্পিয়ন লাভ করেছে, যারা অবৈধ নির্বাচন উপহার দিয়েছেন, যারা চাঁদাবাজি করার কারণে মানুষকে বিরক্ত করেছেন, দ্বিতীয়বার তাদের আর মানুষ ভোট দিবেন না।শায়খে চরমোনাই বলেন, ‘আমাদের রাজনীতি কল্যাণের জন্য, হত্যার জন্য নয়। মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডের দায় বিএনপিকে এড়িয়ে যাওয়া চলবে না। লোক দেখানো বহিষ্কার যথেষ্ট নয়, দলীয়ভাবে দায় স্বীকার করে জবাবদিহি করতে হবে।’সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মানসুর আহমাদ সাকী। সভাপতিত্ব করেন নগর সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন বরিশাল জেলার সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মো. সুলাইমান ও নগর সম্পাদক মাওলানা জাহিদুল ইসলাম।এছাড়াও বক্তব্য রাখেন—উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, প্রভাষক মাওলানা আলামিন, মাওলানা রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক লোকমান হাকিম, মাওলানা আবুল খায়ের আশরাফী, কাওছারুল ইসলাম, আরিফুল রহমান, হাফেজ সাখাওয়াত হোসাইন, হাফেজ আরমান হোসেন রিয়াদ, মাওলানা শাকিল মাহমুদ ও আইয়ুব আনসারী প্রমুখ।সমাবেশে বরিশাল জেলা ও মহানগরের শতাধিক নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।এসকে/আরআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর