ক্ষমতা অপব্যবহারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষসহ নিজের সৎ বোনের পুকুরসহ জায়গা জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে কিশোরগঞ্জ জেলা জজ কোর্টের ড্রাইভার মো. সাইফুল ইসলাম বিরুদ্ধে। গ্রামের সহজ-সরল মানুষের জমি দখল করলেও কেউ প্রতিবাদ করতে পারেন না। প্রতিবাদ করলেই মামলার জালে জড়িয়ে দেন তিনি।রবিবার (০৬ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার লতিবাবাদ ইউনিয়নের জনতা বাজার (মায়াকানন পার্ক সংলগ্ন) এলাকায় এলাকাবাসীর ব্যনারে আয়োজিত মানববন্ধনে এ অভিযোগ তোলেন ভুক্তভোগীরা।অভিযোগ রয়েছে, মোঃ সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে কেউ জমি দখলের প্রতিবাদ করলে চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগে মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়।ভুক্তভোগী মোছাম্মৎ ছালেহা বেগম বলেন, আমাকে সাইফুল মারধোর করছে, আমাদের মোট ২৭শতাংশ জমি সে জমি থেকে আমাদের বেদখল করেছে সাইফুল। আমি তাকে বলছি আমরা এতিম সন্তানাদি নিয়ে এখানে থাকি তুমি এ জায়গা দখল করতে আইসো না। সে আমার কথা শুনে নাই, আমার বৃদ্ধ মা তাকে বুঝায়া বলে, থানায় দরবার হইছে, আমার ছেলের নাম মিথ্যা চাদাঁবাজি মামলা দিছে। আমি সাইফুলের বিচার চাই। আমার জায়গা আমি ফেরত চাই।ভুক্তভোগী মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, আমার নামে খারিজ করা সম্পত্তি আমার সৎ মামা আমার জায়গা থেকে জোর পূর্বক বেদখল করছে। জজকোর্টে চাকরি করে বিধায় প্রভাব খাটিয়ে আমার নামে মিথ্যা মামলা দেয়, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কথা সাইফুল ইসলাম মানেন না। আমি আমাদের জমি ফেরত চাই। ২০১১ সাল থেকে সে আমাদের সাথে এ অন্যায় করে যাচ্ছে।ভুক্তভোগী আকলিমা আক্তার বলেন, সাইফুলের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষি দিছিলাম সে কারণে তার মা,বউ, ভাগ্নি ও তার শালী সকলে মিলে আমাকে মারতে আসছিলো। আমাকে যেখানে দেখে সেখানেই মারদরের হুমকি দেয়।স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, জেলা জজের ড্রাইভার সাইফুল ইসলাম নিরীহ খায়রুল এর নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে,৷ তাদের জায়গা জোর পূর্বক দখল করেছে। এমনকি সাইফুল আমার সাথেও প্রতারণা করেছে, এ প্রতারক এর হাত থেকে আমরা রেহাই চাই।এ বিষয়ে মো. সাইফুল ইসলামের ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোনে সাড়া দেননি।এআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর