জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে যদি আমরা সামনে না থাকতাম, একজন আলেমকে বের করেন তো দুইজন না। ইসলামী আন্দোলনের আলেম ব্যতীত নেতা ব্যতীত একজন আলেম দেখান তো, দুইজনের দরকার নাই। একজনের ছবি দেখান তো? কী করতেন, কী বলতেন বলেন। আজ আপনাদের মুখ কোথায় থাকত? আজ বহুত বড় বড় কথা বলছেন, বহুত বড় বড় দাবি করছেন। আপনাদের পায়ের নিচে মাটিই থাকত না, সব সরে যেত। আজকে যাদের কারণে মুখ উঁচু করে হাঁটছেন, গৌরব করছেন। আপনি জানেন কি, ছাত্র আন্দোলনের ছেলেরা কিভাবে মাঠে নামার জন্য চেষ্টা করছে? আপনি জানেন, আমি কত মাদ্রাসায় আমাদের ছেলেকে পাঠিয়েছি। কিভাবে কি করেছি। একটা মাস পর্যন্ত আমাদের ঘুম ছিল না, খাওয়া ছিল না। আন্দোলন শুরু হয়েছে পহেলা জুলাই আর আমরা ঘোষণা দিয়েছি ৫ই জুলাই। যখন কেউ জানতই না, তখন আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। আর আমাদেরকে ফ্যাসিজমের দোসর বানান। বলেন, বলতে থাকেন, আল্লাহ দেখছেন।শনিবার বিকালে সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জাতীয় ওলামা মাশায়খে আইম্মা পরিষদ আয়োজিত ওলামা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এক কথা বলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (শায়েখ চরমোনাই) এর সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। তিনি আরো বলেন, “আমার কথা হলো, আমার থেকে নতুন কিছু জানার দরকার নেই, শুধু কোরআন-হাদিসে যা আছে, তাই আমল করুন।”জাতীয় ওলামা মাশায়খে আইম্মা পরিষদের উদ্যোগে বেলকুচি শাখার সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ ছানোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ওলামা সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল হক আজাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি হাজী শেখ মুহাম্মাদ নুরুন নাবী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আব্দুস সামাদ প্রমুখ। এফএস
Source: সময়ের কন্ঠস্বর