উন্নয়নের কথা শুনলে ছুটে যান কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়নের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ইউএনও মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।চকরিয়া উপজেলা ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। মোহাম্মদ আতিকুর রহমান চকরিয়া উপজেলায় ইউএনও হিসেবে যোগ দেওয়ার পর উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মানুষের সমস্যার কথাগুলো শুনার জন্য। সাম্প্রতিক মাতামুহুরি নদীর ভাঙন রোধে জিও ব্যাগের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন এ মানবিক ইউএনও। এছাড়া বিভিন্ন নদীর তীরে গাইড ওয়াল নির্মাণ করে নদীর পাড় টেকসই করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চলাচলের অনুপযোগী রাস্তাগুলো চলাচলের উপযোগী করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ইউএনও। তিনি সরকারি বরাদ্দ দিয়ে রাস্তাগুলো সংস্কার বা মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কোনো ভুক্তভোগী তার অফিসে গেলে অগণিত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। সেবাগ্রহীতারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের ব্যবহারে মুগ্ধ হন।মাতামুহুরি সাংগঠনিক উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শোয়েবুল ইসলাম সবুজ বলেন, ‘চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতিকুর রহমান চকরিয়ার প্রত্যেকটি অঞ্চলে চষে বেড়ান মানুষের দুর্দশার কথা শুনার জন্য। এছাড়া তিনি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।’তিনি আরো বলেন, ‘চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলের বেড়িবাঁধ নির্মাণসহ বানবাসীর জনজীবনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। এক কথায় বলতে গেলে তিনি নাগরিক সেবার অতন্দ্র প্রহরী।’চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, ‘চকরিয়া উপজেলায় যোগদান করার পর নাগরিকদের সেবার মান নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অপসারণ হওয়ায় নাগরিকগণ সেবা বঞ্চিত হওয়ার সম্মুখীন হলে তাদের নাগরিক সেবার ব্যবস্থা করছি। চকরিয়া উপজেলা একটি বৃহত্তম উপজেলা। এ উপজেলা প্রত্যেকটি ইউনিয়নে গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’তিনি আরো বলেন, ‘উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে চলাচলের রাস্তাগুলো অনুপযোগী। এ রাস্তাগুলো চলাচলের উপযোগী করার জন্য বরাদ্দ দিয়ে সংস্কার বা মেরামতের উদ্যোগ নিচ্ছি। আমি যতদিন চকরিয়া উপজেলায় কর্মরত থাকব, ততদিন নাগরিক সেবা দেওয়ার জন্য কাজ করে যাবো।’এসকে/এইচএ
Source: সময়ের কন্ঠস্বর