পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর একটি সমাবেশে অতিথির সারিতে বসে থাকা আওয়ামী লীগের এক নেতার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনার ঝড়।জানা গেছে, আলোচিত ওই নেতা দেবীগঞ্জ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ওসমান গনি ওরফে মুন্সী। রবিবার (২২ জুন) রাতে দেবীগঞ্জ পৌরসভার সবুজ পাড়া এলাকায় পৌর জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত ওয়ার্ডভিত্তিক সহযোগী সমাবেশে জামায়াত নেতাদের পাশে অতিথির সারিতে তাকে দেখা যায়। অনুষ্ঠানের কিছু ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়। এই সময় সেখানে পঞ্চগড়-২ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী সফিউল্লাহ সুফি ও দেবীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর আবুল বাশার বসুনিয়া উপস্থিত ছিলেন।সফিউল্লাহ সুফি এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘সভা আয়োজনের দায়িত্বে যারা ছিলেন, তারাই এটা ভালো বলতে পারবেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে ওসমান গণি নামে কাউকে চিনি না।’স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, সমাবেশটি ছিল জামায়াতে ইসলামীর ওয়ার্ড পর্যায়ের সহযোগীদের নিয়ে আয়োজিত এক কর্মসূচি। এমন একটি পরিবেশে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত একটি দলের একজন নেতা কীভাবে অতিথি হিসেবে আসন গ্রহণ করলেন—তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।এ নিয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আওয়ামী লীগকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে দিন। কিন্তু জামায়াত যদি নিজেদের দল ভারী করার জন্য এভাবে আওয়ামী লীগ নেতাদের দলে ভেড়ায়, তাহলে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হবে।জামায়াতে ইসলামীর দেবীগঞ্জ পৌর আমির শেখ ফরিদ বলেন, ‘তিনি (ওসমান গনি) আওয়ামী লীগের কোন পদে আছেন তা আমার জানা নেই। তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আমাদের প্রোগ্রামটি উন্মুক্ত ছিল। হয়তো কোনো সদস্যের সঙ্গে এসেছিলেন। অতিথি হিসেবে মঞ্চে থাকার বিষয়টিও পরিকল্পিত ছিল না। আমাদের অনুষ্ঠানে দর্শক সারিতে কোনো বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি পাঞ্জাবি-টুপি পরে উপস্থিত থাকলে তাকে সম্মান জানিয়ে মঞ্চে বসানো হয়—গতকালও তাই হয়েছে।’এসকে/আরআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর