মধ্যপ্রাচ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ ইরানের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে ইসরায়েল। দুই দেশের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা কারণে হতাহতের তালিকাও ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে। এমতাবস্থায় বিশ্বের ৫৭ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সহস্রাধিক মুসলিম নেতা বৈঠকে বসতে চলেছেন। আজ শনিবার (২১ জুন) তুরস্কে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে যোগ দিতে এরইমধ্যে ইরান, সৌদি আরব, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আঙ্কারায় পৌঁছেছেন।মাত্র একদিন আগে শুক্রবার জেনেভায় ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচির সাক্ষাতের পর এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।তুরস্কের আয়োজনে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরিষদের ৫১তম অধিবেশন এটি। ফিলিস্তিনের গাজা ও ইরানে ইসরায়েলি আগ্রাসন সামনে রেখে ইস্তাম্বুলে মুসলিম বিশ্বের নেতারা একত্রে বসতে চলেছেন। বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইসলামি বিশ্বের প্রতিনিধিরা আলোচনা করবেন। আসতে পারে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও।আজারনিউজ, টিআরটি ওয়ার্ল্ড, আনাদোলু এজেন্সি ও আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের আয়োজন করা দুদিনের এই শীর্ষ সম্মেলন ‘পরিবর্তনশীল বিশ্বে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা’ প্রতিপাদ্য নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে। এই বছরের অধিবেশনে রেকর্ড সংখ্যক উচ্চস্তরের অংশগ্রহণকারী উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে, যা ওআইসির ভূমিকার প্রতি ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক আগ্রহ তুলে ধরবে।৫৭টি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল, ওআইসি-অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান, পর্যবেক্ষক দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রায় ১ হাজার জন অংশগ্রহণকারী অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।আলোচ্যসূচিতে মূল বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে- ক্রমবর্ধমান ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত, দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনা এবং আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা—বিশেষ করে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাত। শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী মুসলিম সম্প্রদায়ের মুখোমুখি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং মানবিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা বৃদ্ধির উপরও আলোকপাত করা হবে।অধিবেশনের সমাপ্তিতে অংশগ্রহণকারীরা ইস্তাম্বুল ঘোষণাপত্র গ্রহণ করবেন এবং আগামী বছরের জন্য ওআইসির দিকনির্দেশনা নির্ধারণকারী খসড়া প্রস্তাবগুলোর একটি অনুমোদন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।তুরস্ক ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরিষদের সভাপতিত্ব করবে। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে তুরস্কে এর আগে ১৯৭৬, ১৯৯১ এবং ২০০৪ সালে কাউন্সিল অধিবেশন আয়োজন করেছে।ক্রমবর্ধমান জটিল বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে ইস্তাম্বুলের বৈঠকটি ওআইসি কূটনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হতে চলেছে। বিশেষ করে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্বের কার্যকর সহযোগিতাপ্রত্যাশী ইরান।এসকে/এইচএ
Source: সময়ের কন্ঠস্বর