এক ছেলে প্রবাসে থাকে আরেক ছেলে নির্মাণ শ্রমিক, তাই তাকেও বিদেশে পাঠানোর স্বপ্ন ছিল বাবার। ঘাতক ট্রাক চালক কেড়ে নিল ছেলে প্রাণ। কাঁদতে কাঁদতে ভৈরব থানা চত্বরে কথাগুলো বলছিলেন সন্তানহারা পিতা মো. শাহজাহান মিয়া। কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর শহরের চণ্ডিবের এলাকায় বালু বোঝাই ট্রাক্টরের চাপায় নিহত হয় রামিন মিয়া (১৯) নামে এক যুবক। শনিবার (২১ জুন) সকালে ঘটনাটি ঘটে চণ্ডিবের এলাকার আব্দুর রহিম ব্যাপারির বাড়ির সামনে। সে ওই এলাকার শাহজাহান মিয়ার ছেলে।স্থানীয়রা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রামিন মিয়া একজন নির্মাণ শ্রমিক। তার বাবা শাহজাহান মিয়া একজন অসুস্থ মানুষ। পরিবারে শাহজাহান মিয়ার ৫ ছেলে-মেয়ে। রামিন পরিবারের দ্বিতীয় সন্তান। আজ শনিবার সকাল ৯ টায় চণ্ডিবের এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে রাস্তা পারাপারের সময় একটি বালু বোঝাই ট্রাক্টরের চাপায় পড়ে। ট্রাক্টরটি চণ্ডিবের হাসপাতাল রোড থেকে ফেরিঘাট এলাকায় যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর স্থানীয়রা আহত অবস্থায় রামিন মিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে ঘটনার পরপর ট্রাক্টর চালক ট্রাক্টর রেখে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।এ বিষয়ে নিহতের বাবা শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘সকালে নাস্তা শেষে আমার ছেলে বাড়ি থেকে বের হয়েছি কাজে যাবে বলে। রাস্তা পারাপারের সময় ট্রাক্টর চাপা দেয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেন মারা গেছে। আমার ছেলেকে আর বিদেশ পাঠানো হলো না। ঘাতক ট্রাক্টর চালক আমার ছেলে প্রাণ কেড়ে নিল, আমি এর বিচার চাই।’এ বিষয়ে ভৈরব থানা এসআই শক্তি মৃদা বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। ট্রাক্টরটি উদ্ধার করা হয়েছে। চালক পলাতক রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর