বড়াল নদীর দখল, দূষণ ও অবৈধ স্থাপনা অপসারণসহ পূর্ণাঙ্গ রক্ষণাবেক্ষণের দাবিতে রাজশাহীর বাঘায় স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) বাঘা উপজেলা শাখা।বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিকেলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় উপদেষ্টা, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাম্মী আক্তারের মাধ্যমে এই স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়। ইউএনও স্মারকলিপি গ্রহণ করে জানান, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।স্মারকলিপি প্রদান করেন বাপা বাঘা শাখার সভাপতি প্রফেসর ড. আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক হামিদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি বেনজির আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মাসুদ, রানু আক্তারী ও মর্জিনা বেগম।এসময় উপস্থিত ছিলেন বাঘা প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক আব্দুল লতিফ মিঞা, সাংবাদিক তোফাজ্জল করিম মিলন, ফজলুর রহমান মুক্তা, হামিদ মিঞা, মোস্তাফিজুর রহমান, লালন উদ্দিন, মো. জহুরুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম ও দোয়েল মোল্লা।স্মারকলিপিতে বলা হয়, বড়াল নদী পদ্মা, যমুনা ও চলনবিলের গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল। এটি দেশের জীববৈচিত্র্য, কৃষি, পানি সরবরাহ ও জলজ প্রাণীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে নদীটি দখল, ভরাট ও দূষণের শিকার। উৎসমুখে নির্মিত চারঘাট ও আটঘড়ি সুইচগেটসহ বিভিন্ন স্থাপনা পানি প্রবাহ ব্যাহত করছে। নদীপাড় দখল করে বাড়িঘর, অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।বাপার দাবি, বড়াল নদীর সীমানা চিহ্নিত করে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ, সুইচগেট অপসারণ করে পূর্ণাঙ্গপ্রস্থ সেতু নির্মাণ, নিয়মিত খনন ও দূষণকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।স্মারকলিপিতে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়, বর্তমান প্রশাসনের উদ্যোগেই বড়াল নদী পুনরুদ্ধারে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর