গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঈদের ছুটিতে এক গৃহে চুরির ঘটনার সাত দিন পার হলেও তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যাননি—এমন অভিযোগে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়রা।ঘটনার সূত্রপাত ৬ জুন রাতে। কালিয়াকৈর উপজেলার মাঝুখান এলাকার বাসিন্দা মাহাবুব আলম ঈদের ছুটিতে পরিবারসহ টাঙ্গাইলের মধুপুরে নিজ গ্রামের বাড়িতে গেলে তার অনুপস্থিতিতে চোরেরা ঘরে হানা দেয়। ১১ জুন রাতে ফিরে এসে তিনি দেখেন, ঘরের প্রধান দরজার তালা ভাঙা এবং আসবাবপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ঘর থেকে চুরি হয় প্রায় ৬ ভরি স্বর্ণ ও রুপার অলংকার এবং নগদ ৩৫ হাজার টাকা।ঘটনার পরপরই মাহাবুব আলম কালিয়াকৈর থানার ওসির নম্বরে ফোন করেন। কিছুক্ষণ পর মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির এসআই পলাশ মাহমুদের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে, লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেয়। পরদিন (১২ জুন) তিনি থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় এসআই ফজলুল হককে।ভুক্তভোগীর অভিযোগ, সাত দিন ধরে একাধিকবার ফোন করার পরও এসআই ফজলুল হক ঘটনাস্থলে যাননি। প্রতিদিনই কোনো না কোনো অজুহাতে আমাকে ফাঁড়িতে যেতে বলেন। কখনো বলেন ব্যস্ত, কখনো বলেন কাল যাবেন। একবার সন্দেহভাজনদের নামও নিয়েছেন, কিন্তু তাতেও কোনো অগ্রগতি হয়নি, বলেন মাহাবুব আলম।তিনি আরও জানান, প্রতিদিন ফোন করেছি, কিন্তু শুধু আশ্বাসই পেয়েছি। বাস্তবে কোনো তদন্ত হয়নি। এতে আমরা হতাশ ও আতঙ্কিত।স্থানীয়রা জানান, থানায় অভিযোগ দিয়েও সাড়া না পেলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর আস্থা নষ্ট হয়। তারা দ্রুত তদন্ত শেষ করে চোরদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।এদিকে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের বিষয়টি আঁচ করতে পেরে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ফজলুল হক তড়িঘড়ি করে ঘটনাস্থলে যান।বিষয়টি নিয়ে মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুস সালাম বলেন, ‘এসআই ফজলুল হককে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’কালিয়াকৈর থানার (ওসি) অপারেশন যোবায়ের আহমেদ বলেন, ‘ঘটনার দিন রাতেই আমরা পুলিশ পাঠিয়েছি। পাশাপাশি এসআই ফজলুল হককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দেবেন।’এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর