বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধে গঠিত আন্তর্জাতিক চুক্তি ‘নন-প্রোলিফারেশন ট্রিটি (এনপিটি)’ থেকে বের হয়ে যাচ্ছে ইরান। সোমবার (১৭ জুন) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এনপিটি চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছে তারা। খবর রয়টার্সের।তেহরান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাঈ হামানে বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে একটি উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব প্রণয়নের প্রক্রিয়া চলছে এবং পরবর্তী ধাপে সরকার ও পার্লামেন্ট একযোগে কাজ করবে।’১৯৭০ সালে ইরান এনপিটি স্বাক্ষর করে, যা বেসামরিক পরমাণু শক্তির অধিকার নিশ্চিত করলেও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি না করার বাধ্যবাধকতা আরোপ করে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA) ইরানের বিরুদ্ধে এনপিটি চুক্তির শর্ত ভঙ্গের অভিযোগ এনেছে।ইসরায়েল দাবি করেছে, ইরান পারমাণবিক বোমা তৈরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে—এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে গত সপ্তাহে ইরানে বড় ধরনের বিমান হামলা চালায় তেলআবিব।তবে ইরান শুরু থেকেই দাবি করে আসছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। এমনকি দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান সোমবার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি ইসলামি শরিয়াহ ও সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ির ফতোয়ার পরিপন্থি।’তবে একই দিন দেশটির পার্লামেন্টে পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধে গঠিত আন্তর্জাতিক চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার প্রস্তাবকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, চুক্তি থেকে বের হওয়ার মাধ্যমে ইরান আসলে তারে পরমাণু শক্তি প্রকাশ্যে আনার পথ উন্মুক্ত করছে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইরান তার পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা করতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে।তেহরানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এনপিটি থেকে সরে যাওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি এবং সংসদে বিষয়টি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।ইরান মনে করে, আইএইএ-এর সাম্প্রতিক প্রস্তাবনা ইসরায়েলের হামলার পথ সুগম করেছে। মুখপাত্র বাঘাঈ বলেন, ‘যারা এই প্রস্তাবে ভোট দিয়েছে, তারাই মূলত ইসরায়েলের হামলার ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে।’এমআর-২
Source: সময়ের কন্ঠস্বর