কুমিল্লা শহরের কোতয়ালী মডেল থানাধীন কার্তিকপুর এলাকায় সেনাবাহিনী ও র্যাব-১১ এর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। গোপন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রোববার (১৫ জুন) দিবাগত রাত ২টার দিকে ২৩ বীরের আওতাধীন সেনা সদস্যদের সঙ্গে র্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লার একটি টিম অভিযানে অংশ নেয়। অভিযানে মোঃ আবু ওবায়েদ ওরফে শিমুল (৩৩) নামে এক চিহ্নিত সন্ত্রাসীকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযানের সময় শিমুলের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোঃ সাইফুল ইসলাম (২৫) পালিয়ে যায়।গ্রেফতার হওয়া শিমুলের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার কোতয়ালী থানার চাঁপাপুর ইউনিয়নের কার্তিকপুর গ্রামে। তার পিতার নাম আব্দুল ওয়াহাব। অভিযান চলাকালে তার অবস্থানরত বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় একটি বিদেশি ৭.৬৫ মিমি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, একটি রাউন্ড গুলি, দুটি দেশীয় তৈরি পাইপগান, ছয় রাউন্ড শটগানের কার্তুজ, তিনটি ককটেল এবং দুটি মোবাইল ফোন। এসব অবৈধ অস্ত্র ও বিস্ফোরক তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সরাসরি প্রমাণ বলে জানিয়েছে র্যাব।এদিকে সূত্র জানায়, শিমুল দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার চিহ্নিত সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত রেজাউলের ডান হাত হিসেবে কাজ করছিল। এলাকায় প্রভাব বিস্তার, অস্ত্রের মহড়া, চাঁদাবাজি ও রাজনৈতিক সহিংসতায় সে সক্রিয়ভাবে অংশ নিত। সূত্র বলছে, এক সময় এই রেজাউল কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের হয়ে অস্ত্র সরবরাহের দায়িত্বে ছিল। পরবর্তীতে রেজাউল ও শিমুল নিজেদের বিএনপির অনুসারী হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করে এবং প্রতিপক্ষকে ভয় দেখাতে রাজনৈতিক পরিচয়কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতো।স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, শিমুল ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। তাদের দমনে র্যাব ও সেনাবাহিনীর এই যৌথ অভিযান সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরিয়েছে। র্যাবের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান জানিয়েছেন, গ্রেফতার হওয়া শিমুলের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং পলাতক সাইফুল ইসলামকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে সন্ত্রাসী চক্রকে নিশ্চিহ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এমন অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর