আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ২০২৩-২৫ চক্রের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এবারের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহাসিক লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। এর আগেও টুর্নামেন্টটির দুই আসরে ফাইনালের ভেন্যু ছিল ইংল্যান্ডের মাটিতে। এর মধ্যে প্রথম আসরের (২০১৯-২১) ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছিল সাউদাম্পটনে। এরপর দ্বিতীয় আসরের (২০২১–২৩) ফাইনাল বসেছিল ওভালে। এবার লর্ডসে ফাইনাল হওয়ার পর, টানা চারবার ফাইনালের আয়োজক হতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড।বৃটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ–এর এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আগামী তিন আসর—২০২৭, ২০২৯ ও ২০৩১ সালের ফাইনালও ইংল্যান্ডেই আয়োজন করতে যাচ্ছে আইসিসি। যদিও ভারত এসব ফাইনালের আয়োজক হতে আগ্রহ দেখিয়েছিল। তবে নানা কূটনৈতিক ও টেকনিক্যাল কারণে তা আমলে নেয়নি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।ইংল্যান্ডকে বেছে নেওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। একদিকে, টেস্ট খেলুড়ে প্রায় সব দেশের সঙ্গে ইংল্যান্ডের সময়ের ব্যবধান তুলনামূলক অনুকূল, ফলে বিশ্বব্যাপী দর্শক টিভিতে খেলা দেখতে পারেন সুবিধামতো সময়ে। তাছাড়া গ্যালারিতে দর্শক উপস্থিতির দিক থেকেও ইংল্যান্ড এগিয়ে। এবার লর্ডসে প্রথম তিন দিনেই প্রায় ৭৫ হাজার দর্শক ম্যাচ উপভোগ করেছেন। টিকিটের দাম তুলনামূলক কম রাখাও এর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।অন্যদিকে, ভারতের বিপক্ষে সিদ্ধান্ত না নেওয়ারও কারণ রয়েছে। যদি ভারত ফাইনালে না ওঠে, তাহলে দেশটির মাঠে দর্শক-উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কা থেকেই যায়। আর পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের রাজনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই জটিল। এমনকি ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের কারণে যদি পাকিস্তান ফাইনালে ওঠে, তাহলে ম্যাচ আয়োজন নিয়ে নতুন সংকটে পড়তে পারে আইসিসি।জুলাই মাসে সিঙ্গাপুরে আইসিসির বার্ষিক সভা হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগেই ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) পরবর্তী তিন ফাইনালের প্রস্তুতি নিতে শুরু করবে। আইসিসির তরফ থেকেও শিগগিরই ইসিবিকে আয়োজক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হবে।আরডি
Source: সময়ের কন্ঠস্বর