অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানলেন দিনমজুর জাহাঙ্গীর হোসেন (৫২)। লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার চরআবাবিল ইউনিয়নের উদমারা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি।কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে ঢাকায় আড়াই মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর গত শনিবার (১৪ জুন) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। জাহাঙ্গীর হোসেনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ছোট ভাই মো. জসিম।এর আগে, গত ১৫ রমজান বিকেলে এক জুয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের হামলায় আহত হন সুদেব শীল মনু নামের এক ব্যক্তি। মারধরের পাঁচদিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারও মৃত্যু হয়। মনুর মৃত্যুর পর তার দরিদ্র পরিবার এলাকা ছেড়ে অজানার উদ্দেশে চলে যান।মর্মান্তিক এ দুটি ঘটনা ছাড়াও উদমারা গ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে অন্তত ১৫-২০টি সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে। এলাকাবাসী জানান, কেউ প্রতিবাদ করলেই তাকে মারধর, লাঞ্ছনা ও হুমকির শিকার হতে হচ্ছে।জানা গেছে, সেখানকার কিশোর সন্ত্রাসীরা গ্রামের তেলিবাড়ী, অধিকারীবাড়ি, এবং বেড়িবাঁধ এলাকায় সন্ধ্যার পর জুয়ার আসর বসান। সেইসাথে মাদক বেচাকেনা এবং ছিনতাইয়ের মতো ঘটনার সাথে জড়িয়ে পরেছেন তারা। মোটরসাইকেল ছিনতাই, কখনো চাঁদাবাজি বা প্রকাশ্যে সংঘর্ষ—প্রায় প্রতিটি অপরাধের সাথে এদের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, এসব গ্যাং সদস্যদের বয়স সাধারণত ১৪ থেকে ২২ বছর। এ বিষয়ে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, “উদমারা গ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত পরিবারের পাশে আমরা আছি। অভিযুক্তদের শীঘ্রই গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মনু শীলের মৃত্যুর ঘটনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, “কিশোর অপরাধ বন্ধে প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণকেও সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।”এসকে/এনএস/এইচএ
Source: সময়ের কন্ঠস্বর