মাদারীপুরে যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মিলন কাজীর বিরুদ্ধে। মিলন কাজী সদর উপজেলার কালীর বাজার এলাকার মোকসেদ কাজীর ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ উঠেছে, স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই তিনি আরেকটি বিয়ে করেছেন। এ ঘটনায় তাঁর প্রথম স্ত্রী মাদারীপুর আদালতে যৌতুক মামলা দিয়েছেন।লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগী নারীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ৫ জুলাই মাদারীপুর সরদ উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকার বাসিন্দা ওই নারীকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন সদর উপজেলার কালীরবাজার এলাকার বাসিন্দা মিলন কাজী। বিয়ের সময় মিলন কাজীকে যৌতুক হিসেবে নগদ টাকা ও লক্ষাধিক টাকার আসবাবপত্র এবং সোনা গয়না কিনে দেন মেয়ের পরিবার। ওই সময় সুখেই সংসার চলছিল তাদের। তাদের দাম্পত্য জীবনে একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে জন্মগ্রহণ করে। বিবাহের কয়েক বছর পর থেকেই আজে বাযে মেয়েদের সহিত মেলামেশা করতে থাকে এবং মদ জুয়ায় আসক্ত হইয়া যায় মিলন কাজী। কয়েক মাস আগে থেকে মিলন কাজী তাঁর স্ত্রীর কাছে যৌতুক হিসেবে টাকা দাবি করে আসছে। টাকা দিতে না পারায় তিনি স্ত্রীকে মারধর করতেন এবং মানসিকভাবে হেনস্তা করতেন। সম্প্রতি তিনি স্ত্রীকে তাঁর বাবার বাড়ি থেকে ৫ লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলেন। কিন্তু স্ত্রী এতে রাজি না হওয়ায় নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। মিলন কাজী প্রথম স্ত্রীর কথা গোপন রেখে সিফা বেগম নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রী বিষয়টি জানতে পেরে মিলনকে জিজ্ঞেস করেন। একপর্যায়ে মিলন স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করে সন্তানসহ তাড়িয়ে দেন। পরে খবর পেয়ে বাবার বাড়ির লোকজন তাঁকে নিয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘আমার স্বামীর চাহিদা মতো যৌতুকের ৫ লাখ টাকা দিতে না পারায় আমার ওপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। প্রতিবাদ করতে গেলে তালাক ও মেরে ফেলার হুমকি দেন। পরে জানতে পারি গোপনে তিনি এক নারীকে বিয়ে করেছেন। বিষয়টি জানতে চাইলে আমাকে অমানুষিক নির্যাতন করে সন্তানসহ ঘর থেকে বের করে দেন। আমার ছোট দুটি সন্তানের দিকে তাকিয়ে স্বামীর অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করেছিলাম। নিরুপায় হয়ে মামলা আদালতে করেছি।মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আদিল হোসেন বলেন, আদালতে মামলা হয়েছে। আমাদের কাছে আদালত থেকে চিঠি আসলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।এইচএ
Source: সময়ের কন্ঠস্বর