বিদেশি যাত্রীরা যদি ব্যাগেজ রুলসের বাইরে পণ্য নিয়ে আসেন এবং সেগুলোর শুল্ক পরিশোধ করতে না চান, তাহলে তারা পরবর্তীতে নিজ দেশে ফেরার সময় তা ফেরত নিতে পারবেন—এমনই একটি নতুন নিয়ম চালুর প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা কাস্টমস হাউজ। এ লক্ষ্যে বিমানবন্দরে স্থাপন করা হবে ‘ফেরত ভল্ট’, যেখানে এসব পণ্য নির্ধারিত সময় পর্যন্ত সংরক্ষিত থাকবে। ইতোমধ্যে প্রস্তাবনাটি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে নিয়মিত যাত্রীসেবা ব্যবস্থার অংশ হিসেবেই এটি বাস্তবায়ন করা হবে। তবে কেবলমাত্র বিদেশি যাত্রীদের জন্যই এই সুবিধাটি প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র।বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে ঢাকা কাস্টমস হাউজের কমিশনার মুহম্মদ জাকির হোসেন বলেন, অনেক বিদেশি যাত্রী ব্যাগেজ রুলস সম্পর্কে অবগত না থাকায় ভুলবশত অতিরিক্ত পণ্য নিয়ে আসেন। তারা সেগুলো বাংলাদেশে রাখতে চান না, বরং ফেরার সময় নিজ দেশে নিয়ে যেতে চান। আন্তর্জাতিক অনেক বিমানবন্দরেই এ রকম ব্যবস্থা রয়েছে, তাই আমরাও এই নিয়ম চালুর প্রস্তাব দিয়েছি।তিনি জানান, এই নতুন ব্যবস্থায় বিদেশি যাত্রী চাইলে তাদের পণ্য ‘ফেরত ভল্টে’ সংরক্ষণের পর দেশে ফেরার সময় তা নিয়ে যেতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে এতে কোনো চার্জ আরোপ না করার কথাই ভাবা হচ্ছে, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সরকারের উপর নির্ভর করবে।এই বিষয়ে ঢাকা কাস্টম এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের বন্দর সম্পাদক আব্দুল রাজ্জাক বলেন, এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। দেশের ভাবমূর্তি বাড়ানোর পাশাপাশি যাত্রীবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করবে। তবে মাদকসহ নিষিদ্ধ পণ্য যেন এই সুযোগের অপব্যবহার না করতে পারে, সেদিকে কাস্টমসকে কড়া নজর রাখতে হবে। আমরা চাই সবসময় আমাদের এই বিমানবন্দর শতভাগ যাত্রীবান্ধব হোক।উল্লেখ্য, বর্তমানে কাস্টমস আইন অনুযায়ী- ব্যাগেজ রুলস অমান্য করে আনা পণ্যের ক্ষেত্রে যাত্রীদের তাৎক্ষণিকভাবে শুল্ক পরিশোধ করে তা ছাড়িয়ে নিতে হয়, অন্যথায় তা জব্দ করা হয় এবং ২১ দিন পর নিলামে বিক্রি করে দেওয়া হয়।এইচএ
Source: সময়ের কন্ঠস্বর