বরগুনায় একদিনে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যু ব্যক্তিরা হলেন- সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের চরপাড়া এলাকার বাসিন্দা চান মিয়া (৭৫) এবং বরগুনা পৌরসভার থানাপাড়া এলাকার বাসিন্দা গোসাই দাস (৭০)। এর আগে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিভিন্ন সময়ে আরও তিন নারীর মৃত্যু হয়। বর্তমানে ১৭২ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।বুধবার (১১ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গোসাই দাস এবং দুপুরের দিকে চান মিয়ার মৃত্যু হয়। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ রেজওয়ানুর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত সোমবার অসুস্থ অবস্থায় চান মিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে চিকিৎসকের দেওয়া পরীক্ষায় তার ডেঙ্গু পজিটিভ হলে হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে তাকে ভর্তি করা হয়। এরপর হাসপাতালে ভর্তির একদিন পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চান মিয়ার মৃত্যু হয়।মৃত চান মিয়ার মেয়ে কুলসুম বলেন, অসুস্থ অবস্থায় তিনদিন আগে বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী স্যালাইন ও ঔষধ দেওয়া হয়। সকালে নতুন করে বাবার রক্ত পরীক্ষা করলে ৬৪ হাজার প্লাটিলেট পাওয়া যায়।অপরদিকে অসুস্থ অবস্থায় গোসাই দাসকে গত রোববার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে সকালে প্লাটিলেট পরীক্ষার জন্য হাসপাতাল থেকে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যায় স্বজনরা। এরপর দুপুরের দিকে আবারও হাসপাতালে নিয়ে এলে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পরে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।মৃত গোসাই দাসের ছেলে সঞ্জয় চন্দ্র দাস বলেন, দুপুর পর্যন্ত বাবার শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল। ক্লিনিকে পরীক্ষা করিয়ে বাসায় গিয়ে খাবারও খেয়েছে। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে হঠাৎ করেই তার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে অক্সিজেন লাগানো হলেও তার মৃত্যু হয়।বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ রেজওয়ানুর আলম বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। দুজনই বয়স্ক ছিলেন। তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল বলেও জানান তিনি।বরগুনা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫৪৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এফএস
Source: সময়ের কন্ঠস্বর