পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রতিটি সবজির দাম কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। বাজারে প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকায়।প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে সবজি ও মরিচের ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় শাকসবজি ও মরিচের দাম বাড়তি বলে জানিয়েছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। এ পরিস্থিতিতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ভোক্তাদের জন্য বাজার করা আর্থিক ও মানসিক কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেলে ভাঙ্গুড়া উপজেলার শরৎনগর, কালীবাড়ি, ভাঙ্গুড়া বাজার ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।বাজারগুলোতে সপ্তাহের ব্যবধানে বেগুন ৩০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা, পেঁয়াজ ১০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা, পেঁপে ১৫ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা, আলু ১০ টাকা বেড়ে ৩০ টাকা, করলা ২০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ১০ টাকা বেড়ে ৩০ টাকা, ৫ টাকা বেড়ে লালশাকের আঁটি ১০ টাকা এবং সবচেয়ে বেশি ৭০ টাকা কেজি দরের কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা কেজি দরে।উপজেলার শরৎনগর বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম জানান, টানা বৃষ্টির কারণে সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সপ্তাহে শাক-সবজি যে দামে বিক্রি হয়েছে, এখন তার থেকে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে বৃষ্টির কারণে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম।ভাঙ্গুড়া বাজারে সবজি কিনতে আসা ভ্যানচালক সাইদুল ইসলাম জানান, গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে লোকজন প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। ফলে প্রতিদিনের যে আয় রোজগার সেটাও কমে গেছে। একদিকে আয় নেই, অপর দিকে সবজির দাম বেড়েছে। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টের দিন পার করতে হচ্ছে।এ ব্যাপারে ভাঙ্গুড়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শারমিন জাহান সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, বৃষ্টিপাত বেড়ে যাওয়ায় শাক-সবজি ও কাঁচা মরিচের যোগান কমে গেছে। যে কারণে চলতি সপ্তাহের শুরুতে এসব পণ্যের দাম বেড়েছে। বাজারে পর্যাপ্ত সবজি সরবরাহ শুরু হলে দাম কমে আসবে।আরডি
Source: সময়ের কন্ঠস্বর