কিশোরগঞ্জের ভৈরবে নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষণের চেষ্টার শিকার হয় ৫ বছরের শিশু। এ ঘটনার অভিযোগে অপরাধী যুবক জিহান মিয়া (১৯) কে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশের সদস্যরা। বুধবার (১১ জুন) সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে ১০ জুন রাতে অভিযুক্ত জিহান মিয়াকে পৌর শহরের ভৈরবপুর উত্তরপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত যুবক ওই এলাকার দানিস ব্যাপারি বাড়ির মৃত শাহজাহান মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদি হয়ে ভৈরব থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ খন্দকার ফুয়াদ রুহানি।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শিশুটি নানার বাড়ি ভৈরবপুর উত্তরপাড়া। বাবার বাড়ি রাজশাহী গোদাগাড়ী থানার শ্রীমন্তপুর গ্রামে। মায়ের সঙ্গে দুই মাস আগে বেড়াতে আসে। ঈদ উপলক্ষে শিশুটি মায়ের সাথে খালার বাসায় বেড়াতে যায়। বাসাটি তিন তলা ভবন। শিশুটি অন্যান্য শিশুদের নিয়ে বিকালে ওই ভবনের ছাদে খেলতে যায়। এদিকে এলাকার চিহ্নিত ছিনতাইকারী ও বখাটে জিহান মিয়া ছাদে যায় তার এক সহপাঠী নিয়ে। সহপাঠী ছাদ থেকে নামার বিষয়টি শিশুটির খালা টের পেয়ে যায়। পরে সন্দেহ হলে ছাদে উঠে দেখে জিহান মিয়া শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করছে। এ সময় শিশুটির খালার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এসে জিহানকে আটক করে। পরে পুলিশকে খবর দিলে রাতে পুলিশ জিহানকে গ্রেপ্তার করে। এ বিষয়ে শিশুটির বাবা বলেন, ‘আমার পরিবার প্রায় দুই মাস যাবত ভৈরবে রয়েছে। আমি ৯ জুন ভৈরবে এসেছি। ১৩ জুন পরিবার নিয়ে বাড়ি ফিরে যাবো। আমার শালীর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। ছাদে আমার মেয়ে খেলতে গেলে জিহান ধর্ষণের চেষ্টা করে। ৫ মিনিট দেরি হয়ে গেলে আমার মেয়ের ক্ষতি হয়ে যেতো। বখাটে জিহানের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’ এ বিষয়ে ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ খন্দকার ফুয়াদ রুহানি বলেন, ‘খবর পেয়ে থানা পুলিশ রাতেই জিহানকে গ্রেপ্তার করে। শিশুটিকে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’ এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর