গার্মেন্টস কর্মী রোকসানা কে গলা কেটে ও আগুন দিয়ে হত্যাকান্ডের মূলহোতা আসামি মো: সোহাগ(২৬)’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪ সাভার।র্যাব-৪, সিপিসি-২, নবীনগর, সাভার এবং র্যাব-১৩, সিপিসি-৩, গাইবান্ধা এর একটি যৌথ আভিযানিক দল রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানাধীন ইমাদপুর তালপট্টি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর গার্মেন্টস কর্মী রোকসানা(২০)’কে গলা কেটে ও আগুন দিয়ে হত্যাকান্ডের মূলহোতা আসামি মো: সোহাগ(২৬)’কে গ্রেফতার করে। সোহাগ ও রোকসানা পরস্পর স্বামী স্ত্রী। বিবাহের পর হইতে আসামি সোহাগ রোকসানাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। গত ২০/০৪/২০২৫ তারিখ সকাল অনুমান সাড়ে ছয়টার সময় পাশের রুমের ভাড়াটিয়া মহিমা আক্তার রোকসানার বড় বোন রওশনারাকে মুঠোফোনে জানায় যে, রোকসানা মারা গেছে। খবর পেয়ে বড় বোন রওশনারা ভিকটিমের টঙ্গাবাড়ির ভাড়া বাড়িতে গিয়ে শরীরে বিভিন্ন দাগ, গলায় কাটা ও আগুনে পুড়া অবস্থায় দেখতে পান।আশুলিয়া থানা পুলিশকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সংবাদ জানাইলে আশুলিয়া থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছাইয়া তার পরিবারে উপস্থিতিতে মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেন এবং ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ এ পাঠান।এ সংক্রান্তে বড় বোন মোসা: রওশনারা বেগম (৩০) বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারিত হলে র্যাব-৪ এর আভিযানিক দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন এবং অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে ছায়া তদন্ত শুরু করে । গত ৩০-০৪-২০২৫ তারিখ র্যাব-৪, সিপিসি-২, সাভার ও র্যাব-১৩, সিপিসি-৩, গাইবান্ধা এর একটি যৌথ আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানাধীন ইমাদপুর তালপট্টি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আশুলিয়ার চাঞ্চল্যকর রোকসানা(২০) হত্যাকান্ডের মূলহোতা আসামি মো: সোহাগকে গ্রেফতার করে।আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। অদূর ভবিষ্যতেও এইরুপ অপরাধের বিরুদ্ধে র্যাব এর জোড়ালো অভিযান অব্যাহত থাকবে।এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর