আমাদের দেশের উপর ভারতের আগ্রাসী মনোভাব চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিভিন্ন সময়ে অনেক শাসকের পরিবর্তন হয়েছে। তার মধ্যে কেবল মেজর জিয়া এদেশের প্রকৃত পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেছেন। ভারতের আগ্রাসী মনোভাব আমাদের মেজর জিয়াকে বাঁচতে দেয়নি। আর শেখ হাসিনার পতন এদেশে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের পতন নয়, শেখ হাসিনার পতন মানে এদেশে ভারতীয় আধিপত্যের পতন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ। তিনি আরো বলেন, ‘২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার খুনের সাথে জড়িত, এদেশের মানুষের অর্থপাচারের সাথে জড়িত টিউলিপ সিদ্দিকীর সাথে ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সাক্ষাৎ হলে তা চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সাথে প্রতারণা করা হবে।’ সোমবার (৯ জুন) বিকেলে হাতিয়ার চরঈশ্বর ইউনিয়নের পর্যটন কেন্দ্র কমলার দিঘীর পাড়ে মেঘনা নদীর ভাঙনের কবলে ভিটেমাটি হারা স্থানীয়দের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন। হান্নান মাসউদ বলেন, ‘১৯৭১ সালের পর সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া স্বাধীন হয়েছে। মালয়েশিয়া পেয়েছিল মাহাথির মোহাম্মদের মতো সৎ ও নিষ্ঠাবান শাসক। আর আমরা পেয়েছি শেখ মুজিবের মতো শাসক, যার আমলে এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল।’ ‘২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে দুই হাজার মানুষ জীবন দিয়েছে শুধু নির্বাচনের জন্য নয়’ উল্লেখ করে হান্নান মাসউদ বলেন, ‘আপনারা নির্বাচন-নির্বাচন করছেন। ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুস নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছেন। এদেশে নির্বাচন হবে, তবে তার আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। এদেশের সকল ঘর থেকে অস্ত্র উদ্ধার হলে, প্রতিটি অস্ত্রধারী গ্রেফতার হলেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে।’ নিজ জন্মভূমি হাতিয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অনেকে আমার কাছে জানতে চায় আমি জাতীয় পর্যায়ে রাজনীতি করেও কেন হাতিয়া নিয়ে ভাবছি। আমি তাদেরকে বলি, হাতিয়ার মানুষের দুঃখ, দুর্দশার ভাগাভাগি করতে হাতিয়া যাচ্ছি। দীর্ঘ সময় থেকে হাতিয়া সন্ত্রাসের আখড়ায় রূপ নিয়েছিল। সেই সন্ত্রাসের আখড়া থেকে হাতিয়াকে বসবাসযোগ্য হাতিয়ায় রূপ দেয়ার জন্য আমি হাতিয়া নিয়ে ভাবছি।’ হাতিয়া কলেজের সাবেক শিক্ষক মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় হাতিয়া উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।পিএম
Source: সময়ের কন্ঠস্বর