মুসলিম সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল আযহা উৎসবকে ঘিরে ১ জুন থেকে আগামী ১৯ জুন পর্যন্ত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) ছুটি থাকবে। ফলে ছুটির আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে। দলে দলে বাড়ি ফিরে গেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে একদল স্বপ্নবাজ শিক্ষার্থী এবারের ঈদে থেকে যাচ্ছেন ক্যাম্পাসে কিংবা আশপাশের মেস হোস্টেলে।ঈদের পরে চাকরির পরীক্ষা ও সেমিস্টার ফাইনাল থাকায় তারা বাড়িতে যাচ্ছেন না। যেকারণে পরিবার ছাড়াই এসব শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ঈদ উদযাপন করবেন। নিজেদের স্বপ্ন পূরণে নাড়ির টান উপেক্ষা করে শতাধিক শিক্ষার্থী ঈদ-উল আযহায় বাড়ি ফিরছেন না। ভবিষ্যত জীবনযুদ্ধে টিকে থাকতেই তাদের এ সিদ্ধান্ত। এসব শিক্ষার্থীর পড়াশোনার সুবিধার্থে ছুটি থাকাকালীন কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি খোলা রাখবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। পরিবার ছেড়ে এভাবে ক্যাম্পাসে ঈদ উদযাপন করার আগাম অনুভূতি জানিয়েছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী।চাকরি প্রত্যাশী শিক্ষার্থী মো. আশিক বলেন, ইতোমধ্যে বিসিএসের সার্কুলার দিয়েছে। এতে ভালো ফলাফল করার আশায় ঈদে বাড়ি না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সত্যি বলতে বাড়িতে সময় চলে যায়। ফলে পড়ালেখা থেকে দূরত্ব তৈরি হয়। এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিসিএস পরীক্ষা শেষ করে বাড়িতে যাবো। তিনি আরও বলেন, সাধারণত পরিবার ছাড়া ঈদের আনন্দ নেই বললেই চলে, সেজন্য খারাপতো লাগবে এটাই স্বাভাবিক।বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের শিক্ষার্থী ইব্রাহীম বলেন, এবার ঈদের আগে ও পরে কয়েকটি চাকরির পরীক্ষা থাকায় বাড়িতে যাচ্ছি না। এবারের ঈদ হলেই করবো। পড়াশোনা এখন প্রায় শেষের দিকে। তাই ভবিষ্যত ক্যারিয়ারের জন্য চাকরি প্রয়োজন। পরিবার ছেড়ে বাহিরে ঈদ করতে কিছুটা খারাপ লাগলেও ভবিষ্যত প্রয়োজনের তাগিদে এটা মানিয়ে নিতে হচ্ছে।চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান বলেন, ঈদ মানে আনন্দ কিন্তু আমাদের মতো চাকরি প্রত্যাশীদের জন্য আনন্দ একটি চাকরি নিজের করে নেওয়ার মধ্যেই। চাকরির পরীক্ষায় এগিয়ে থাকার জন্য এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে পরীক্ষা শেষ হলে বাড়ি যাবো। পরিবার ছাড়া এবারই প্রথম ঈদ কাটবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে। যা আমার জন্য এক নতুন অভিজ্ঞতা।শুধু এসব চাকরি প্রত্যাশীরাই নন; এবারের ঈদে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থীর বাড়ি ফেরা হবেনা। তাদের ঈদের দিনটি ক্যাম্পাসের আঙিনায় নতুন কোনও এক মেসের বারান্দায় কেটে যাবে। চাকরি প্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় বাড়িতে ফেরা হবে না আরও অনেকের।শিক্ষার্থী মাহি বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এরমধ্যে দুটি পরীক্ষা শেষ হলো, বাকি পরীক্ষাগুলো ছুটির পর হবে। পরীক্ষার প্রস্তুতি যাতে ভালোভাবে নেয়া যায় সেজন্যই বরিশালে থাকা। শিক্ষকরা আমাদের সেশনজট এড়ানোর জন্য পরীক্ষা দ্রুত নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।এইচএ
Source: সময়ের কন্ঠস্বর