রাজশাহীর বাগমারায় পানবরজে কাজ করার সময় শিয়ালের কামড়ে এক নারীসহ ১৩ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ইয়াছিন আলী, কাজি সরদার, পয়েজ উদ্দিন, আমান, এমরান, মেহের, সোহান, নাছের আলী, ফারুক, হানু, ইছো রয়েছেন।শুক্রবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের সাইপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।আহত ব্যক্তিদের সবাই বাসুপাড়া ইউনিয়নের সাইপাড়া ও হলুদঘর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে সাইপাড়া গ্রামের ইয়াছিন আলী (৪৫), কাজি সরদার, পারভিন খাতুন (৩৪) ও ফারুক হোসেন (৬৮) বেশি আহত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।আহত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজন জানান, আজ সকালে তাঁরা পানবরজে কাজ করতে গিয়েছিলেন। এ সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই শিয়াল আক্রমণ করে তাঁদের হাত–পায়ে কামড় দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এভাবে সকাল আটটা থেকে সাড়ে আটটার মধ্যে পানবরজে কয়েকজনকে কামড় দেয় শিয়ালটি। এ ঘটনার পরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তাঁরা পানবরজে যাওয়া বন্ধ করেছেন। সাইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বদিউজ্জামান বলেন, ‘আমরা আতঙ্কে আপাতত বাইরে যাচ্ছি না।’আহত ইসাহাক আলী (৬৭) বলেন, ‘সকালে পানবরজে কাজ করার সময় পিছন থেকে একটা শেয়াল এসে খচ করে কামড় দিয়ে চলে গেছে।’ সাইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও বিএনপির স্থানীয় নেতা ইয়াছিন আলী বলেন, ‘আজ সকালে পানবরজে গিয়ে শিয়ালের কামড়ের শিকার হয়েছি। পেছন থেকে লাফ দিয়ে শিয়াল কামড় দিয়েই চলে গেছে।’বাসুপাড়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন জানান, শেয়ালের কামড়ে অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে পানচাষীদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।শুক্রবার(৬ জুন) সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিয়ালের কামড়ে আহত ১২ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানান জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ও উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা লোকমান হোসেন। তিনি বলেন, ‘এসব রোগীকে টিকা দেওয়া হয়েছে। অধিকাংশের পায়ে ক্ষত হয়েছে।’এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আহসান হাবিব মুঠোফোনে বলেন, ‘শিয়াল সাধারণত দুটি কারণে আক্রমণ করে। প্রথমত, কেউ প্রাণীগুলোকে আঘাত করলে সংঘবদ্ধ হয়ে আক্রমণে যায়। আরেকটি হলো খাদ্যসংকট। এখন শিয়ালের খাবারের খুব অভাব। ক্ষুধার্ত হয়ে এগুলো লোকালয়ে গিয়ে লোকজনের ওপর আক্রমণ করে। মনে হচ্ছে, ক্ষুধার্ত শিয়ালই আক্রমণ করেছে। এ বিষয়ে স্থানীয় মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে এবং আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা নিতে হবে।’এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর