দগদগে আগুনে গরম লোহা ও ইস্পাতের পিটাপিটিতে মুখর হয়ে উঠেছে বাগমারা উপজেলার কামারশিল্পের দোকানগুলো। রবিবার দুপুরে বাগমারার ভবানীগঞ্জ, কালিগঞ্জ ও শিকদারিসহ উপজেলাটির বিভিন্ন এলাকায় কামারপট্টিতে গিয়ে কামারদের ব্যস্ততার প্রতিচ্ছবি চোখে পড়ে।কামারদের মধ্যে কেউ লোহা আগুনে গরম করছেন, কেউ বা সেই লোহাকে পিটিয়ে বিভিন্ন আকার দিচ্ছেন। আবার কেউ বা তৈরি হওয়ার জিনিসে ধার দিচ্ছেন। এ সকল ধারালো সামগ্রীর মধ্যে ওজন, মান ও প্রকারভেদে দাম নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। একটি মাঝারি ধরনের দা ও কাটারি তৈরি করে ওজন অনুযায়ী ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় হয়। ছুরি আকার ভেদে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।ক্রেতারা জানান, ঈদ প্রায় চলেই এসেছে। কোরবানির পশু জবাই দিতে এবং মাংস কাটার জন্য প্রয়োজন চাকু ও ছুর। সে কারণে বাজারে এসেছি দা, বটি ও ছুরি কিনতে। জিনিসের দাম কিছুটা বেশি অন্যবারের চেয়ে।রতন কামার জানান, ‘লোহা পিটিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করা আমার পেশা, বাপ-দাদার পৈতৃক সূত্রে আমি এই পেশায় জড়িত। সারাদিন কাজ করে যে কয়টি জিনিস বানাই, সেসব বিক্রয় করে খুব বেশি লাভ না হলেও পরিবারের লোকজনদের নিয়ে একটু ভালো থাকার জন্য এই পেশাটি ধরে রেখেছি এখনও। তবে সারাবছর কাজ-কর্মের ব্যস্ততা তেমন থাকে না। কিন্তু কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে আমার কর্মব্যস্ততা অনেক বেড়ে গেছে। সারাবছর যদি এরকম কাজ থাকতো, ভালই হত।’উল্লেখ্য, ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে বাগমারায় কোরবানিযোগ্য গরু রয়েছে প্রায় ৭০ হাজার, যার মধ্যে ৪৭,২৮৫ টি পশু কোরবানি করা হবে।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর