সাধারণত শীতের সময়ে চিতই পিঠার কদর থাকে বেশি। কিন্তু এই গরমেও থেমে নেই পিঠার চাহিদা। শীত এবং গরম উভয় সময়ে জমজমাট এক পিঠার বাজার। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়নের সালুয়াদী হাটটি যেনো পিঠার মেলা। সন্ধ্যার পরপরই দূরদূরান্ত থেকে মানুষের আনাগোনা শুরু হয়, বেচাবিক্রি চলে গভীর রাত পর্যন্ত। একদম অজপাড়াগাঁয়ের এই ছোট্ট বাজারটি দিনের আলো নিভে যাওয়ার পর সরগরম হয়ে ওঠে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই বাজারে রয়েছে তিনটি পিঠার দোকান। সবগুলো দোকানে মানুষের জটলা লেগে রয়েছে। রানা মিয়া, ইয়াসিন ও হাকিম মিয়ার পিঠার স্বাদে মেতেছে সবাই। চাউলের গুরো দিয়ে মাটির চুলাতে তৈরি হয় গরম গরম চিতই পিঠা ও শুটকি পিঠা। সাথে রয়েছে বাহারি অনেক রকমের ভর্তা। মুখরোচক ভর্তার মধ্যে রয়েছে স্বাদের রহস্য। চোখের সামনে তৈরি হচ্ছে পিঠা, এর জন্য অপেক্ষায় রয়েছে অনেকেই। গরম গরম পিঠা তুলার সাথে সাথে পৌঁছে যাচ্ছে সবার হাতে। পিঠার দোকানে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পিঠা প্রেমীদের ভীড় লেগে থাকে। স্থানীয়রা জানান, শীতে বিক্রি আরো কয়েকগুণ বেড়ে যায়। দোকানগুলোতে প্রতিদিন ৫০-৮০ কেজি চাউলের পিঠা বিক্রি হচ্ছে। পিঠা বিক্রেতা হাকিম মিয়া বলেন, আমার পিঠার ভক্ত রয়েছে দেশবিদেশ । একবার একজন বিদেশ থেকে বাড়ি এসেই এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি আমার দোকানে এসে পিঠা খেয়ে বাড়ি ফিরেছে। মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখে প্রতিনিয়ত বৈচিত্র্যময় ভর্তা তৈরি করি। পিঠা প্রেমী আব্দুল হাকিম বলেন, বছরের বারোমাস এখানে পিঠা বিক্রি হয়। শীতকালে এই চাহিদা আরো দিগুণ হয় তখন একটি পিঠা পেতে দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হয়।কটিয়াদী থেকে আসা মাইনুল হক মেনু বলেন, আসলেই এখানকার পিঠার সাথে ভর্তার স্বাদ বেশি। নানান উপাদান দিয়ে তৈরি ভর্তা মুখরোচক। প্রতিটির মধ্যে ভিন্ন স্বাদ পেয়েছি।
Source: সময়ের কন্ঠস্বর