সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে নির্ধারিত কোনো ফাইনাল নেই। ডাবল লিগ পদ্ধতির এই টুর্নামেন্টে যে দলের পয়েন্ট বেশি হবে তারাই চ্যাম্পিয়ন। টুর্নামেন্টে পাঁচ ম্যাচে বাংলাদেশের অর্জন ১৫ পয়েন্ট এবং নেপালের ১২ পয়েন্ট।সোমবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যায় মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও নেপাল। দুই দলের পয়েন্ট বিবেচনায় আজকের এ ম্যাচটি হয়ে দাঁড়িয়েছে অঘোষিত ফাইনাল। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে সন্ধ্যা ৭টায় সমীকরণ বলছে, এ ম্যাচটি ড্র হলেই শিরোপা জিতবে বাংলাদেশ। তবে নেপাল জয়ী হলে উভয় দলের পয়েন্ট হবে সমান ১৫। সেক্ষেত্রে বিবেচনা করা হবে প্রথমে হেড টু হেড, এরপর গোল ব্যবধান এবং সবশেষে গ্রুপের সব ম্যাচের পারফরম্যান্স। এক্ষেত্রে চ্যম্পিয়ন হতে পারে নেপাল। বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলারের কৌশলের সবচেয়ে বড় দিক হল গোছানো ফুটবল এবং দ্রুত আক্রমণে যাওয়া। এ ম্যাচেও কৌশলে কোনো পরিবর্তন আনতে চাইছেন না তিনি। নেপালকে হারিয়েই মেয়েদের নিয়ে শিরোপা উৎসব করতে চান তিনি।নেপালের বিপক্ষে অলিখিত ফাইনাল নিয়ে দেশের এক শীর্ষ গণমাধ্যমকে বাটলার বলেছেন, ‘নেপাল শক্ত প্রতিপক্ষ। তাদের সঙ্গে শেষ কয়েকটি ম্যাচের মতো খেললে হবে না। আমরা সেরা দলটাই নামাব। যতটা সম্ভব আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে হবে। আক্রমণই হবে আমাদের মূল অস্ত্র।’এদিকে ছেড়ে কথা বলবে না নেপালও। টুর্নামেন্টে ভারত না থাকায় নেপালের শিরোপা জয়ে সবচেয়ে বড় বাঁধা বাংলাদেশ। এটি টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই অনুমান করা হয়েছিল। টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বের অন্য ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৩-২ গোল ব্যবধানে হার ছাড়া বাকি সবক’টি ম্যাচে জিতেছে নেপাল। এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে এই টুর্নামেন্টে নেপাল প্রতিপক্ষকে দিয়েছে ৩০টি, খেয়েছে চারটি। টুর্নামেন্টে দলটির গোলপার্থক্য +২৬। অন্যদিকে বাংলাদেশ ২৪ গোল দেওয়ার পাশাপাশি খেয়েছে চারটি, গোলপার্থক্য +২০। ফলে শেষ পর্যন্ত গোল ব্যবধানের সমীকরণে ম্যাচ পৌঁছালে চ্যাম্পিয়ন হবে নেপালই। তবে বাংলাদেশের জন্য স্বস্ত্বির খবর হলো, এ ম্যাচে বাংলাদেশের কোচ বাটলার পূর্ণ শক্তির একাদশ নামাতে পারেন। তিন ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা শেষে ফিরছেন দলের অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড মোসাম্মৎ সাগরিকা, যিনি গত আসরে সর্বোচ্চ গোলদাতা এবং সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন।আরডি
Source: সময়ের কন্ঠস্বর