সিলেটের গোলাপগঞ্জে বেড়ি বাঁধ ভেঙে বিলীন হয়ে গেছে। এতে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে পৌর শহরসহ আশপাশের এলাকা। বন্ধ হয়ে গেছে এলাকার যান চলাচলের রাস্তা, ফলে স্থানীয় জনগণ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে হাজার হাজার একর জমি, পৌর এলাকার বাসাবাড়ি, দোকানপাট, উপজেলা পরিষদ, থানা প্রাঙ্গণসহ বিস্তীর্ণ এলাকা সুরমা নদীর পানিতে তলিয়ে যেতে পারে। ভাঙনের সংবাদ পেয়ে সিলেটের পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি প্রতিনিধি দল সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা আশ্বস্ত করেন ভাঙন রোধে সাময়িক কাজ করা হবে।গোলাপগঞ্জ উপজেলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জনপদ হচ্ছে পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ড। পুরো ওয়ার্ডটিই সুরমা নদীর বেড়ি বাঁধের নিরাপদ এলাকায় অবস্থিত। এই এলাকার গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ জুড়ে পৌর শহর ও অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। একেবারে পূর্ব প্রান্তে রয়েছে মৌলভী খালের অবস্থান। বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেতে এখানে প্রায় ৪ দশক আগে নির্মিত হয় সুইচ গেইট। ফলে গোলাপগঞ্জ পৌর শহর ও উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ অংশ বন্যার কবল থেকে মুক্তি পায়। এ বছরের মার্চ মাসে মৌলভী খালের মোহনায় অর্থাৎ সুরমা নদীর বেড়ি বাঁধে ভাঙন দেখা দিলে পৌরসভার উদ্যোগে পাইলিং করে গাড ওয়াল নির্মাণ করে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হয়। কাজ শেষ হওয়ার মাস খানেক পর ঐ স্থানে বড় ধরনের ভাঙন দেখা দিলে গাড ওয়ালসহ বড় অংশে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দেয়। এতে পাকা রাস্তার নিচের মাটি সরে গেলে রাস্তা দিয়ে চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে যায়, ঝুঁকির মধ্যে পড়ে বিদ্যুৎ লাইন। ভাঙনের কারণে অত্র এলাকার জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়ায় ও গোলাপগঞ্জের উল্লেখযোগ্য এলাকা বন্যার কবলে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিলে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে সম্প্রতি সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি প্রতিনিধি দল সরেজমিন পরিদর্শন করেন। সুইচ গেইটের পানির স্রোতের কারণে বাঁধের কাজ শুরু করতে না পারায় ভাঙন এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর