ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব ও পূর্ণিমার জোয়ারের সঙ্গে টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে বরগুনার আমতলী উপজেলায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা ও জনদুর্ভোগ। তলিয়ে গেছে ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে, বন্ধ ছিল ফেরি চলাচল। পাশাপাশি আউশ ধানের বীজতলা, মাছের ঘের, পানের বরজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দিনভর সূর্যের দেখা না মেলায় দুর্ভোগ আরও বাড়ে। আমতলী পৌর শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তাঘাট, বাসাবাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি উঠে যায়। বিশেষ করে পায়রা নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পাওয়ায় আমতলী-পুরাঘাটা ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে তলিয়ে দুপুর ১১টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে।১১৯.৫৮ মিমি বৃষ্টিপাত, বিপর্যস্ত কৃষি গত তিন দিনে আমতলীতে ১১৯.৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এতে উপজেলার অধিকাংশ আউশ বীজতলা, মাছের ঘের ও পানের বরজ পানিতে তলিয়ে গেছে।আমতলী গেজ রিডার আবুল কালাম আজাদ জানান, পূর্ণিমার জোয়ারের কারণে পায়রা নদীর পানি বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ফেরিঘাট ইজারাদার সিদ্দিকুর রহমান বলেন, গ্যাংওয়ে তলিয়ে যাওয়ায় প্রায় ৫ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে হয়েছে।পানি উঠে গেছে আমতলী মফিজ উদ্দিন বালিকা ও বালক মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরকারি কলেজ, বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজসহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। মফিজ উদ্দিন স্কুলের প্রধান শিক্ষক শাহ আলম কবির বলেন, বিদ্যালয়ের কোয়ার্টার পানিতে তলিয়ে গেছে, ক্লাস নেওয়া যাচ্ছে না। বকুলনেছা কলেজের অধ্যক্ষ ফেরদৌসি আক্তার বলেন, ভবনের বারান্দা গড়িয়ে পানি শ্রেণিকক্ষে ঢুকে পড়ছে।কৃষক শিবলী শরীফ বলেন, মাঠঘাট পানিতে থই থই করছে, বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা। চাষি সোহেল রানা বলেন, জলকপাট বন্ধ থাকায় পানি জমে জলাবদ্ধতা আরও বেড়েছে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাসেল মিয়া বলেন, দ্রুত পানি নেমে গেলে বীজতলার ক্ষতি কম হবে, তবে সবজি চাষে কিছুটা ক্ষতি হবে।পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, ‘আমি এলাকা পরিদর্শন করেছি। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর