চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডে মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় যুবদল ক্যাডারের চুরিকাঘাতে কলিমুদ্দিন (৩৩) নামের এক স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী খুন হয়েছে। সে উপজেলার বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের পূর্ব লালানগর গ্রামের মৃত আবু নাসেরের পুত্র। এছাড়াও সে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তাবিত ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি।বুধবার (২৯ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের ছোটদারগারো হাট বাজারে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় সাখাওয়াত হোসেন সাখার অনুসারীদের দেশীয় অস্ত্র ও ককটেল বিস্ফোরণে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।সীতাকুণ্ড মডেল থানা পুলিশ জানায়, সহস্র ঝর্ণা ধারা নিয়ে বিরোধের খুনের কথা বললেও স্থানীয় দলীয় নেতারা দাবি করছে, ইয়াবা ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে। নিহত কলিমুদ্দিনের বড় ভাই তসলিম উদ্দিন বলেন, ‘সাখাওয়াত হোসেন সাখা হলো এলাকায় চিহ্নিত মাদককারবারী। আমার ভাই তাকে ইয়াবা ব্যবসা করতে বাধা দেওয়ার কারণেই সে তার দলবল নিয়ে আমার ভাইকে কুপিয়ে ও চুরিকাঘাত করে হত্যা করে।’সে যুবদলের নেতার নাম ভাঙিয়ে মাদকের ব্যবসা করে। কলিমুদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও স্বোচ্ছার ছিল। তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সাখাওয়াতের মোবাইল বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মজিবুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় কিছু যুবক অন্তকোন্দলের কারণেই কলিমুদ্দিনকে ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।’ ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ মুমূর্ষু অবস্থায় কলিমুদ্দিনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রয়েছে বলে জানান তিনি।চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, ‘সম্প্রতি ইজারা নেওয়া কোরবানির গরুর বাজার সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক চলছিল। বৈঠকের বাইরে কয়েকজন সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। তাদের হাতে ছিল দেশীয় অস্ত্রও। তারা স্থানীয়ভাবে ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত থাকায় অনেকদিন ধরে দল থেকে সতর্ক করা হয়েছিল। তারা ককটেল ফাটিয়ে ত্রাস সৃষ্টির পর উল্লাস করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। ভয়াবহ এ পরিস্থিতি কারো জন্য কাম্য নয়।’জিয়া মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক অহিদুল ইসলাম চৌধুরী শরীফ নিজেকে সহস্র ধারা ইজারাদার দাবি করে বলেন, ‘খুন হওয়া কলিমুদ্দিন বারৈয়ারঢালা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের পাঁচ নং ওয়ার্ডের প্রস্তাবিত কমিটির সভাপতি। স্থানীয় যুবদল নেতা সাখাওয়াত হোসেন সাকা ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত। বৈঠক চলাকালীন সময়ে কলিমুদ্দিনকে কুপিয়ে ও চুরিকাঘাত করে হত্যা করে সাখাওয়াত হোসেন সাকার বাহিনীর সদস্যরা। তবে সহস্রধারা ও গরুর বাজার ইজারা নিয়ে কোন বিরোধ নেই।’বারৈয়ারঢালা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আবু সালেহ বলেন, ‘সাখাওয়াত সাকা বাহিনীর দুই সদস্যের সঙ্গে ১৫০ টাকার মাদক বিক্রির নিয়ে বিরোধে সৃষ্টি হয়। সাকা সহযোগী কলাবাড়িয়ার বাসিন্দা হৃদয়সহ কয়েকজন মিলে কলিমুদ্দিনকে চুরিকাঘাত ও কুপিয়ে আহত করে। পরে মারা যায়।’ এআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর