কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া নতুন বাজারে বসছে কুরবানির হাট, তবে মাঝারি গরুর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি।সপ্তাহে দুই দিন এ বাজার বসবে। প্রতি শনিবার ও প্রতি বুধবার এ পশুর হাট বসবে। সে হিসেবে আজ বুধবার এ কুরবানির পশুর হাটের যাত্রা শুরু হল।সরেজমিনে দেখা যায়, পশুর হাটে আইন-শৃঙ্খলা কঠোরভাবে পালন করা হচ্ছে। পশুর হাটে বিক্রেতাগণ বাজার ব্যবস্থাপনা দেখে খুব খুশি।পশুর হাটের দায়িত্বপ্রাপ্তরা বলেন, ‘কুরবানির হাটে যারা গরু বিক্রি করতে আসবে, তাদের জন্য স্বল্প পরিমাণ হাসিলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাটে গরু প্রবেশ ফি ১০০ টাকা, গরু বিক্রি হলে ৬০০ টাকা হাসিল নির্ধারণ করা হয়েছে; তার মধ্যে গরু বিক্রেতা ২০০ টাকা এবং গরু ক্রেতা ৪০০ টাকা হাসিল পরিশোধ করবে। এছাড়া হাটে ছাগল প্রবেশ ফি ৫০ টাকা। ছাগল বিক্রি হলে ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, বিক্রেতা ও ক্রেতা মিলে ২০০ টাকা পরিশোধ করবে।’তারা আরো বলেন, ‘পশুর হাটে পর্যাপ্ত পরিমাণে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে যারা গরু বিক্রি বা ক্রয় করতে আসবে, তাদের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’ছাগল বিক্রেতারা বলেন, ‘ঢেমুশিয়ায় পশুর হাট বসায় আমরা খুব আনন্দিত। আমাদের এখানে আর কোনো পশুর হাট নেই। তাই আমাদের ছাগল বিক্রি করতে অনেক কষ্ট হয়। ঢেমুশিয়া নতুন বাজারে পশুর হাট বসায় আমাদের অনেক কষ্ট কম হচ্ছে।’প্রান্তিক খামারিরা বলেন, ‘আমরা গরুর খামার করে বাজার না থাকায় সহজে গরু বিক্রি করতে পারি না। তাই ঢেমুশিয়ায় পশুর হাট বসায় আমরা খুব খুশি। ফলে গরু ক্রেতারা খুব নিরাপত্তা সহকারে গরু ক্রয় করতে পারবে।’ঢেমুশিয়া নতুন বাজার পশুর হাটে আজকে সর্বোচ্চ তিন লক্ষ বিশ হাজার টাকার মূল্যে একটা ১২ মনের গরু বিক্রি করার জন্য আনা হয়েছে। তবে গরুটি ক্রেতাদের নজর কাড়ে, কিন্তু ক্রেতারা মাঝারি গরু কিনতে সক্ষম হচ্ছে।স্থানীয়রা বলেন, ‘ঢেমুশিয়া নতুন বাজারে পশুর হাট বসায় পশু ক্রেতা ও বিক্রেতার জন্য অনেক ভালো হবে। বাজারের উন্নয়নের ক্ষেত্রে এ পশুর হাট অনেক ভূমিকা রাখবে। তবে স্থানীয়দের দাবি হচ্ছে, বাজারটি স্থায়ীভাবে চালু থাকুক।’এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর