চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় কোরবানির ঈদে চাহিদার চেয়ে অন্তত দুই হাজার পশু বেশি প্রস্তুত রয়েছে। আসন্ন ঈদুল আযহা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে কোরবানির পশুর প্রস্তুতিও তুঙ্গে। খামারি ও বেপারীরা গরু কেনা, বেচা ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে। লোহাগাড়া উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে পাঁচ শতাধিক বাণিজ্যিক ও ১৩ হাজার পারিবারিক খামার রয়েছে। গ্রাম ও খামার থেকে গরু সংগ্রহ করছেন বেপারিরাও।লোহাগাড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, এ বছর লোহাগাড়ায় কোরবানির পশুর চাহিদা ৩৮ হাজার ৫৯টি। তবে প্রস্তুত রয়েছে অন্তত ৪০ হাজার পশু। অর্থাৎ, চাহিদার চেয়ে ২ হাজার বেশি পশু রয়েছে উপজেলায়। এসব পশুর মধ্যে রয়েছে গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ।উপজেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী মোট ৯টি হাটে গবাদি পশু বেচাকেনা হয়। ৯টি হাটের মধ্যে উপজেলার পদুয়া বাজার, দরবেশহাট, বড়হাতিয়া, চরম্বা, নয়াবাজার, আধুনগর খান হাট গরুর বাজারগুলো বড়। এসব বাজারে বিভিন্ন স্থান থেকে বেপারিরা এসে গরু কিনে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে বিক্রি করেন। এছাড়া স্থানীয় বেপারিরা বিভিন্ন এলাকার খামার ও কৃষকের বাড়ি গিয়ে গরু কিনে তা বাজারে বিক্রি করেন।জানা গেছে, প্রতি বছর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার খামারি ও কৃষকরা গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত থাকেন। দেশে গত চার বছর ভারত থেকে কোরবানির হাটে পশু কম আমদানি করায় দেশি গরুর চাহিদা ছিল বেশি। খামারিরা ভালো লাভও করেছিলেন। তাই এ বছরও কোরবানিকে সামনে রেখে দেশি গরু ও ছাগল মোটাতাজা করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার খামারি ও কৃষকরা। এ বছরও ভারতীয় গরু না এলে বেশ লাভবান হবেন বলে আশা করছেন তারা। তবে মায়ানমার থেকে অবৈধ পথে পশু আসার খবরে সঠিক দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত খামারিরা।সূত্র জানায়, বর্তমানে উপজেলার প্রায় ১৩ হাজারের মতো মানুষ (খামারি, কৃষক ও বেপারি) এ পেশায় রয়েছেন। খামারি ছাড়াও উপজেলার সাধারণ কৃষকরা বাড়তি উপার্জনের জন্য বাড়িতে একটি দুইটি করে গরু মোটাতাজা করেন। উপজেলার আধুনগরের খামারি আবু সুফিয়ান জানান, গো–খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় কোরবানির গরুর দাম ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বাড়তে পারে। প্রতিবেশী দেশ থেকে পশু না এলে স্থানীয় খামারিরা ভালো দাম পাবেন। স্বাভাবিক খাবার দিয়েই পশু মোটাতাজা করেছেন বলে জানান তিনি। এ ছাড়া চুরি-ডাকাতি ঠেকাতে রাত জেগে পাহারা দিতে হচ্ছে।লোহাগাড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সেতু ভূষণ দাশ জানান, এ বছর উপজেলায় কোরবানির জন্য ২৫ হাজার গরু, ১ হাজার মহিষ, ১২ হাজার ছাগল ও ৫০০ শতাধিক ভেড়া প্রস্তুত রয়েছে। উদ্বৃত্ত ২ হাজার পশু দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চাহিদা মেটাতে সহায়ক হবে।এআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর